বরিশাল থেকে এম.মিরাজ হোসাইন: বিয়ের প্রলোভনে অস্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে গ্রাম্য সালিশে তার ইজ্জতের মূল্য ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গ্রাম্য সালিশের ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে জেলার উজিরপুর উপজেলার শোলক গ্রামে।
নির্যাতিতা ও সালিশ বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের সোনামদ্দিন সিকদারের পুত্র কাওছার সিকদারের সাথে একই গ্রামের দিনমজুরের মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর কাওসার তার প্রেমিকাকে কথাবলার জন্য বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় স্কুল ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আপত্তিকর অবস্থায় কাওছার সিকদারকে আটক করে ইউপি সদস্য জামাল হোসেনের কাছে হস্তান্তর করে।
মুহুর্তের মধ্যে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পরে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ইউপি সদস্য জামাল হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য সেলিম, জাকির চৌকিদার রবিবার রাতে গ্রাম্য সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেন। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীর ইজ্জতের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৩০ হাজার টাকা। কান্নাজড়িত কন্ঠে মেয়ের মা সাংবাদিকদের কাছে বলেন, ‘মোরা গরীব হওয়ায় মেম্বারে হুমকি ধামকি দিয়া সালিশে মোগো কোন কতাই কইতে দ্যায় নায়’। ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীর বিয়ের বয়স না হওয়ায় ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। ইউপি সদস্য জামাল হোসেনকে ফোন করা হলে তিনি অসুস্থতার কথা বলে ফোনের লাইন বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানার ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম-পিপিএম বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা। তবে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি উল্লে¬খ করেন।