মধুপুরে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগের নামে অর্ধকোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ

মধুপুর (টাঙ্গাইল) থেকে আব্দুল্লাহ আবু এহসান: টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রানিয়াদ গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে একটি চক্রের বিরুদ্ধে সংযোগ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত এক বছর ধরে ওই চক্র উপজেলার রানিয়াদ গ্রামবাসীদের কাছ থেকে এ পরিমাণ টাকা চাঁদাবাজি করেছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।

এ নিয়ে এলাকাবাসী বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোডের্র (আরইবি) চেয়ারম্যানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। রানিয়াদ গ্রামের ভুক্তভোগী লাল মিয়া স্বাক্ষরিত ওই লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, মাস্টার প্ল্যানের আওতায় সিরিজ প্যাকেজে এলাকার ১২ কিলোমিটার বিদ্যুৎ দেওয়ার পরিকল্পনায় আনা হয়। প্রথম ধাপে ৯টি সেচ পাম্প, ২টি স’ মিল ও ৭শ গ্রাহককে সংযোগ সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্তে কাজ এগুতে থাকে।

এই সুযোগে স্থানীয় প্রভাবশালী জয়নাল আবেদিন, কবির হোসেন, শাহিন, রফিকুল ইসলাম গ্রুপ বিদ্যুৎ নিতে আগ্রহীদের সমিতির সদস্য করা, ম্যাপ অংকন, খুঁটি সরবরাহ, মিটারসহ নানা খরচপাতির নামে মিটার প্রতি কমপক্ষে ৬ হাজার টাকা করে বিনা রসিদে গ্রহণ করে। এই টাকার পরিমাণ প্রায় অর্ধকোটি।

অথচ গত এক বছরেও প্রত্যাশিতরা সংযোগ পাননি। কাঠ ব্যবসায়ী ও স’ মিল মালিক শামসুর রহমান স্বপন নিজে ৬ হাজার টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করে অভিযোগ করেন, এই চাঁদাবাজিতে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারি জড়িত। রানিয়াদ গ্রামের আলহাজ গাজিবুর রহমান, আব্দুল লতিফ, সোলায়মানও একই অভিযোগ করেন। তারা খুব দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগও দাবি করেছেন।

এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর মধুপুর জোনাল ম্যানেজার মোল্লা আবুল কালাম জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্তের জন্য ইতিমধ্যে কমিটি গঠন করেছেন। তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।