ঈশ্বরদী (পাবনা) থেকে স্বপন কুমার কুন্ডু: খুঁড়িয়ে চলছে বাংলাদেশ রেলওয়ে ডাক বিভাগের কার্যক্রম, চলছে চরম ক্রান্তিকাল। দেশের প্রাচীনতম ডাক যোগাযোগ মাধ্যমের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে সুদীর্ঘকাল ধরে ভূমিকা রাখছে। কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে এই প্রতিষ্ঠানে কাজের পরিধি বৃদ্ধি পেলেও জনবল ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ঈশ্বরদীতে রেলওয়ে জংশন স্টেশনে বৃটিশ আমল থেকে একইস্থানে স্থানস্বল্পতা নিয়ে কার্যক্রম পরিচালিত করছে ডাক বিভাগ।
প্রাচীনতম এ প্রতিষ্ঠানটি কেবল চিঠিপত্র আদান প্রদানই করেন না। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল পাবলিক পরীক্ষার উত্তরপত্র এই ডাক বিভাগের মাধ্যমে আদান প্রদান করে থাকে। কিন্তু স্থান সংকুলানের অভাবে দেখা যায় ঈশ্বরদী রেলওয়ে ডাকবিভাগ খোলা আকাশের নিচে মূল্যবান ডকুমেন্ট, চিঠিপত্র ও খাতাপত্র স্তুপাকারে ফেলে রাখে। চারিদিকে নেই কোনো ঘেরা বা বাউন্ডারি, নেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বৃহত্তম জংশন স্টেশনে বিভিন্ন প্রকৃতির লোক সমাগম তুলনামূলকভাবে বেশি। ফলে যে কোনো সময় সামান্য কারণেই এই সব মূল্যবান জিনিষপত্র নষ্ট বা খোয়া যেতে পারে। আবার মূল্যবান জিনিষের উপর যে কোনো ধরনের নাশকতাও হতে পারে। এসব মালামালের নিরাপত্তার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই।
ডাক বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভবিষ্যৎও অন্ধকারাচ্ছন্ন। সকাল থেকে শুরু করে সারদিন হার ভাঙ্গা পরিশ্রম করলেও ওভারটাইম বা বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা নেই। রাতে ও দিনে দুই শিফটে কাজ করলেও তাদের জন্য নেই বাড়তি কোনো সুবিধা। দীর্ঘদিন এই প্রতিষ্ঠানে নতুন লোক নিয়োগ করা হয়নি। অবসরে যাওয়ার পর জনবল কমে গেছে। সীমিত সংখ্যক লোকবল নিয়েই গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানটি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে।