বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় দর্শন ছিল বাংলার দু:খী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো- রংপুরে স্পীকার

রংপুর থেকে জয়নাল আবেদীন: স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সবচেয়ে বড় দর্শন ছিল বাংলার দু:খী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। এর জন্য তিনি তার সারা জীবন ব্যয় করেছেন। কৃষি, শিক্ষা, নারীদের উন্নয়ন, ভবন নির্মাণ, প্রশিক্ষণ প্রদান, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ উন্নয়নের সব বিষয়ে বিভিন্নভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের উন্নয়নের যে ধারা সৃষ্টি হয়েছে, এ ধারাকে যদি আমরা অব্যাহত রাখতে পারি তাহলে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হবে।

ZAINAL RANGPUR SPEKER D,SEREN SARMEN PHOTO3

তিনি  বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর পীরগঞ্জ উপজেলা গভর্ন্যান্স প্রজেক্টের আওতায় প্রতিবন্ধি ও গ্রাম পুলিশের মধ্যে হুইল চেয়ার, বাই সাইকেল ও মোবাইল ফোন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিদ্যুৎ প্রসঙ্গে স্পীকার বলেন, ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেন, তখন দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো মাত্র ৩ হাজার মেগাওয়াট। যে কারণে সব সময়ে বিদ্যুতের লোড শেডিং লেগেই ছিল। সে অবস্থান থেকে আমরা উত্তরণ ঘটিয়েছি। বর্তমানে দেশে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন স্থান নতুন নতুন সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র পীরগঞ্জ উপজেলাতেই ইতি মধ্যে ২ হাজার ৩’শ নতুন সংযোগ দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই ভেন্ডাবাড়িতে বিদ্যুতের নতুন সাব-ষ্টেশনের উদ্বোধন করা হবে। সেখান থেকে আরও ১৫ হাজার নতুন মিটার সংযোগ দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার দারিদ্র্যের হার কমিয়ে ৪০ ভাগ থেকে ২৩ দশমিক ৫ ভাগে এনেছে। দেশের মানুষের সম্মিলিত পরিশ্রমেই এটা সম্ভব হয়েছে। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামীতে দেশের মানুষের ক্ষুধা-দারিদ্র্য দূর করে তাদের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।  যেটা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল।

উপজেলা পরিষদ মাঠে ইউএনও এটিএম জিয়াউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে রংপুরের জেলা প্রশাসক ফরিদ আহম্মদ, জেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি-আলহাজ্ব একেএম ছায়াদৎ হোসেন বকুল, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি-মোতাহারুল হক বাবলু, সহ সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোনায়েম হোসেন সরকার মানু, সাধারণ সম্পাদক তাজিমুল ইসলাম শামীম বিশেষ অতিথি ছিলেন।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি রওশন আরা ওয়াহেদ, রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রনি ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবা বেগম মিথি প্রমুখ। শেষে স্পীকার ওই প্রজেক্টের আওতায় ৬০ জন প্রতিবন্ধির মাঝে হুইল চেয়ার, ৮ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ, গ্রাম পুলিশের মাঝে ৭৫ টি বাই সাইকেল ও ১৩১ টি মোবাইল ফোন প্রদান করেন। এরপর তিনি প্রাকৃতিক বাজিতপুরে হিমাগারের উদ্বোধন ও উপজেলা আ’লীগের সাথে মতবিনিময় করেন। সন্ধ্যায় ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।