রাজশাহী থেকে কাজী শাহেদ: রাজশাহীর পুঠিয়ায় পুলিশের ছোঁড়া লাঠির আঘাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে তিন মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার তারাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদে এলাকাবাসী রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে দুই ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন। নিহতরা হলেন সুমন, মেহেদী হাসান আপন ও শুভ। তিনজনের বাড়ি নাটোর সদর উপজেলার কান্দিভিটা এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকেলে মোটরসাইকেলযোগে নাটোর থেকে পুঠিয়া হয়ে চারঘাটে যাওয়ার সময় তারাপুর এলাকায় দায়িত্বপালনরত পুলিশ সদস্যরা তাদের থামতে সিগন্যাল দেয়। পুলিশের সিগন্যাল উপেক্ষা করে তারা দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যাওয়ার সময় পুলিশ সদস্যরা লাঠি ছুঁড়ে মারে। পুলিশের ছোঁড়া লাঠিটি মোটরসাইকেলের চাকার ভেতর ঢুকে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এসময় রাজশাহী থেকে আড়ানীগামী একটি যাত্রীবাহি বাসের (ঢাকা মেট্রো-জ-০৪-০০৮৪) চাকায় পিষ্ট হন তারা তিনজন। এদের মধ্যে ঘটনাস্থলে দুইজন ও পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী লাশ নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। সেই সঙ্গে তারাপুর এলাকায় দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের শাস্তি দাবি করেন। এ সময় এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যান।
পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহরিয়ার খান জানান, মোটরসাইকেলের সঙ্গে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তিন মোটরসাইকেল আরোহী বাসের চাপায় নিহত হয়েছেন। তবে পুলিশের ছোঁড়া লাঠির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে কি না এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া বাসটিও আটক করেছে পুলিশ।