শেরপুর থেকে রেজাউল করিম: শেরপুর প্রেসক্লাব সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য ‘নেলসন ম্যান্ডেলা সম্মাননা পদক-২০১৫’ লাভ করেছেন। নেলসন ম্যান্ডেলা রিসার্চ কাউন্সিল অব বাংলাদেশ এর উদ্যোগে তাঁকেসহ সাংবাদিকতা, জনসেবা ও মানবাধিকার বিষয়ে অবদান রাখা ৩০ জন প্রতিনিধিকে ওই পদকসহ একটি করে সনদপত্র দেওয়া হয়।
২৪ এপ্রিল শুক্রবার রাতে রাজধানীর পুরানা পল্টন মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে নেলসন ম্যান্ডেলার কর্মময় জীবন শীর্ষক আলোচনা সভা ও নেলসন ম্যান্ডেলা পদক প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি আমিরুল কবির চৌধুরী। আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান সাবেক ডিআইজি (এসবি) বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার ব্যুরোর মহাসচিব ড. মোঃ শাজাহান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পীরজাদা শহীদুল হারুন ও ভাষাসৈনিক রেজাউল করিম। নেলসন ম্যান্ডেলার কর্মময় জীবনের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি ও গবেষক গোবিন্দ লাল সরকার। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব রেজাউল করিম রিপন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী মঞ্জুর হোসেন।
এদিকে পদক ও সনদ হাতে পেয়ে রফিকুল ইসলাম আধার প্রতিক্রিয়ায় নেলসন ম্যান্ডেলার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং তার নামানুসারে প্রতিষ্ঠিত রিসার্চ কাউন্সিলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেইসাথে তিনি আমৃত্যু বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় দৃঢ়চিত্ত থাকার সংকল্প ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, রফিকুল ইসলাম আধার ১৯৮৮ সন থেকে দীর্ঘ প্রায় ২৭ বছর যাবত সাহিত্য-সাংবাদিকতার সাথে জড়িত। তিনি স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। ওই অবস্থায় তিনি শেরপুর থেকে প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক দশকাহনীয়া’ পত্রিকায় দীর্ঘ প্রায় এক যুগ নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। স্বল্পতম সময়ে তিনি দৈনিক তথ্যধারা’র প্রধান বার্তা সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে প্রায় দু’বছর যাবত তার সম্পাদনা-প্রকাশনায় ন্যাশনাল অনলাইন নিউজপোর্টাল শ্যামলবাংলা২৪ডটকম প্রকাশিত হচ্ছে। এছাড়া তিনি বহুল প্রচারিত দৈনিক জনকন্ঠ ও সরকারি গণমাধ্যম বাংলাদেশ বেতার এর শেরপুর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। সাহসী ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় জড়িত থাকার পাশাপাশি তিনি স্থানীয় ও জাতীয় পত্র-পত্রিকায় বিভিন্ন ইস্যুতে কলাম লিখে আসছেন। মাটি ও মানুষের গন্ধ এবং জাতীয় সমস্যাসহ উন্নয়ন-অগ্রগতি তার লেখার অন্যতম উপজীব্য। যন্ত্রচালিতের মত ব্যস্ত ওই মানুষটি আইনপেশা, রাজনীতি, শিক্ষা ও সমাজসেবাতেও সক্রিয়ভাবে জড়িত। তিনি বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির দু’দফায় নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এর আগে তিনি শেরে বাংলা একে ফজলুল হক সম্মাননা পদক-২০১৫ লাভ করেছেন।