ঈশ্বরদী (পাবনা) থেকে স্বপন কুমার কুন্ডু: পল্লী বিদ্যুতের অভাবনীয় বিপর্যয়ে অতিষ্ঠরা শিল্প বাঁচাও দেশ বাঁচাও স্লোগান নিয়ে সোমবার দুপুরে ঈশ্বরদী গার্মেন্টস ওয়েষ্ট কটন মিল এসোসিয়েশন এবং মাঝারী ও ক্ষুদ্র শিল্প মালিক গ্রুপের উদ্যোগে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করা হয়। দাশুড়িয়া, বহরপুর ও ঢুলটি এলাকার প্রায় ৫০টি মিল কলকারখানার মালিক ও শ্রমিক সম্মিলিতভাবে দাশুড়িয়া পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিস ঘেরাও করে। এ সময় দাশুড়িয়া পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম ও সমিতির নির্বাচিত পরিচালক ইদ্রিস আলী জনরোষের কবলে পড়লে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আন্দোলনকারীরা জানান, মেঘের গর্জনের আওয়াজ শুনেই দাশুড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ ২০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বন্ধু রাখে। মাইকিং করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা, সেকেন্ডে সেকেন্ডে লোড শেডিং কওে মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট করা, শিল্পকে ধবংসের অপচেষ্টা রোধ, বিদ্যুত অফিস দালাল মুক্ত, অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ গ্রহণ করা এবং এলাকাটিকে অবিলম্বে শিল্প এলাকা বিবেচনা করে আলাদা লাইনের ব্যবস্থা করার দাবি সম্বলিত লিখিত অভিযোগ এ সময় পেশ করা হয়।
ডিজিএম এক মাসের মধ্যে আলাদা লাইন করার ব্যবস্থা এবং লোডশেডিং যাতে না হয় এমন ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিলে মিল মালিকরা কর্মসূচি স্থগিত করে। এসময় বক্তব্য রাখেন মিল মালিক এসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক ও দাশুড়িয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি এবং এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দিকী প্রমুখ।
পরে মিল এসোসিয়েশনের অফিস কক্ষে পূর্ণতা কটন মিলে সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে সৃষ্টি কটন মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামাল উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পল্লী বিদ্যুত সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে।