শৈলকুপায় ভূমিকম্পে স্কুল ভবনে ফাটল, ক্লাসে যেতে ভয় পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

ঝিনাইদহ থেকে জাহিদুর রহমান তারিক: ঝিনাইদহের শৈলকুপার সারুটিয়া ইউনিয়নের ছোট মৌকুড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি ভূমিকম্পের কারণে বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোনো সময় ভবনটি ধসে পড়ার আশংকা রয়েছে। যে কারণে পরীক্ষা চলা সত্ত্বেও ক্লাস রুমে যেতে ভয় পাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা।

School-1
ছোট মৌকুড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনে ভূমিকম্পের কারণে বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, ভূমিকম্পে উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের ১১৮ নং ছোট মৌকুড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ভবনের অনেক জায়গা থেকে খসে পড়েছে পলেস্তোরা। বিম থেকে আলাদা হয়ে গেছে ছাদ ও দেয়াল। বিশেষ করে বিদ্যালয়ের পেছনের দিকে একটি পুকুর থাকায় আরো হুমকির মুখে পড়েছে ভবনটি।

বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী ছাত্র-ছাত্রীরা জানায়, ভবনের অনেক জায়গায় ফাটল ধরেছে, ধসে পড়ার ভয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে ভয় পাচ্ছে তারা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল জানান, এই বিদ্যালয়টি ১৯৯০ সালে স্থাপিত। ২০০০ সালে নতুন ভবনটি পূণ:নির্মিত হয়। ভূমিকম্পে বিদ্যালয় ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। যে কোন সময় ধসে পড়ার আশংকা রয়েছে। একটিমাত্র ভবনে মাত্র ৩টি ক্লাশ রুম হওয়ায় ২৬৪ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে আগে থেকেই জায়গা সংকটে ভুগছেন তারা। এরপর আবার ভূমিকম্পে ফাটল ধরা ভবনের কক্ষে প্রবেশ করতে ভয় পাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা।

২৩ তারিখ থেকে ২০১৫ সালের বার্ষিক প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শুরু হয়েছে যা চলমান রয়েছে। তিনি আরো জানান, বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী অনুপাতে যেখানে নুন্যতম ৭ জন শিক্ষক প্রয়োজন, সেখানে প্রধান শিক্ষকসহ আছে মাত্র ৪ জন শিক্ষক। এদিকে বিদ্যালয় ভবনে ফাটলের খবর শুনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে অভিভাবকরা। ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তারা। তবে পরীক্ষা চলার কারণে ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

অতিদ্রুত ফাটল ধরা ভবনটি সংস্কারের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অভিভাবকরা। অপরদিকে ভূমিকম্পে ভবনে ফাটলের সংবাদ শোনার পরও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোকাদ্দেস হোসেন ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দ্বীন মোহাম্মদ পরিদর্শনে আসেননি বলে জানা গেছে।