হাকিম বাবুল, শেরপুর: নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাও গ্রামে বাক প্রতিবন্ধী স্বামী আব্দুল জলিলকে জিম্মি করে তার স্ত্রী শারীরিক প্রতিবন্ধী আক্তারা বেগমকে (৪৫) ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশি তদন্তে এরকম চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া তোয়ালকুচি গ্রামের শুঁটকি ব্যবসায়ী আবেদ আলী ওই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। শেরপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২৯ এপ্রিল বুধবার অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই ব্যবসায়ীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
নালিতাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক মো. রহুল আমিন জানান, প্রতিবন্ধী আক্তারা বেগমের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের পরদিন তার বাক প্রতিবন্ধী স্বামীর নামে ওই গৃহবধূর ছেলে মামলা করতে থানায় আসে। পরে স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ইশারা–ইঙ্গিতে ওই ঘটনার সাথে জড়িতদের সম্পর্কে তথ্য দেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোরে আবেদ আলীকে গ্রেফতার করলে তিনি ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে। এ ঘটনার সাথে আরো কয়েকজনের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
গত ২১ এপ্রিল বিকেল থেকে আক্তারা বেগম নিখোঁজ ছিলেন। ২৫ এপ্রিল শনিবার দুপুরে পোড়াগাও গ্রামের আমিরুল মিয়ার বাড়ির একটি খড়ের গাদার নিচ থেকে শেয়াল-কুকুরে খাওয়া প্রতিবন্ধী আক্তারা বেগমের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।