কিশোরগঞ্জ থেকে মোস্তফা কামাল : কিশোগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় রোববার দুপুরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, বাড়িঘর ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ গিয়ে উভয় পক্ষের ১৪ জনকে গ্রেফতার করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এলাকাবাসী জানায়, বুধবার সকালে উপজেলার মুনিয়ারীকান্দা গ্রামের একটি বালু ভর্তি ট্রাক্টর ও চরফরাদী গ্রামের বাইসাইকেল আরোহীর মধ্যে সাইড দেওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংর্ঘষ, বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিনের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মিমাংসার জন্য দরবার বসে। বেলা ১২টার দিকে কে বা কারা গুজব ছড়িয়ে দেয় যে, এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে গেছে।
এ সময় দরবার অসমাপ্ত রেখে লোকজন তাড়াহুড়া করে বেরিয়ে যান। এলাকায় গিয়ে তারা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে চরকাওনা মুনিয়ারীকান্দা, চরতেরটেকিয়া, চরপাড়াতলা গ্রামের লোকজনকে একত্রিত করে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে চরফরাদী গ্রামে হামলা চালায়। এ সময় শাহীদ মিয়ার ঘর ভাংচুর, আব্দুল্লাহ মেম্বার, আতাবুল, স্বপন, গিয়াস উদ্দিন ও সাহিদসহ প্রায় ১২ জনের ক্ষেতের ধান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এছাড়া এংরাজ মিয়া, রফিক মিয়া ও গিয়াস উদ্দিনসহ ৫-৬ জন কৃষকের ক্ষেতের মরিচ, করলা, চিচিংগা ও কাঁঠাল কুপিয়ে বিনষ্ট করে।
খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া থানা, কিশোরগঞ্জের ডিবি ও দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রায় তিন ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় চরকাওনা গ্রামের ফরহাদ (৩৫), বকুল (৪০), সোহেল মিয়া (৩৮), কফিল উদ্দিন (৩৫), আনিছ (৪০), কদ্দুছ (৩০), হরমুজ (৩২), মুনিয়ারীকান্দা গ্রামের মনিরুজ্জামান (২৫), চরফরাদী গ্রামের সোহাগ (১৮), হানিফ (২৮), দিলু মিয়া (২৯), হায়দার আলী (৪০), ঝাউগারচর গ্রামের জাকির হোসেন (২০), তারাকান্দি গ্রামের আলামিনকে (২৫) আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান আল মামুন জানান, এলাকায় আবারও হামলার আশঙ্কায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।