খুলনায় ৪ পিস্তলসহ গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের ১ জন বন্দুকযুদ্ধে নিহত

খুলনা থেকে সোহরাব হোসেন: খুলনায় অস্ত্রসহ গ্রেফতার হওয়ার সাড়ে ৬ ঘণ্টার মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে এক ডাকাত। এ সময়ে নিহত ডাকাতের অপর সহযোগী আহত হয়েছে। খুলনা থানা পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে ডাকাত আল মামুনকে নিয়ে নগরীর মিস্ত্রি পাড়া এলাকায় তার আস্তানায় তল্লাশী অভযানে গেলে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এ সময়ে পুলিশও পাল্টাগুলি করে।

Khulna Pic
খুলনায় ৪ পিস্তলসহ গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের ১ জন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে

এক পর্যায়ে অপর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও আল মামুন বন্দুকযুদ্ধের মাঝখানে পড়ে যায় এবং গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে বেলা ১টা ৪৫ মিনিটে নগরীর রায় পাড়া ক্রস রোড থেকে ৩টি বিদেশি অত্যাধুনিক নাইন এমএম পিস্তল, ১টি পয়েন্ট ৩২ রিভলবার ও ২১ রাউন্ড গুলিসহ ডাকাত আল মামুন ও তার সহযোগী ফারুককে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো নগরীর খালিশপুরের নয়াবাটি বাজার এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে আল মামুন (৩৮) ও বাগমারা সেতু এলাকার মো. শামসুল হকের ছেলে ফারুক হোসেন (২৪)।

গ্রেফতারের সময় তারা পুলিশকে লক্ষ করে গুলি করার চেষ্টা করে। খুলনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অরুন কুমার দাস জানান, তিনি সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুল আজিজকে নিয়ে রায়পাড়া এলাকায় টহল ডিউটিতে ছিলেন। রায়পাড়া ক্রস রোড এলাকা দিয়ে রিকশায় করে দু’ যুবককে যেতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় গতিরোধ করে তল্লাশীর চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই যুবকদ্বয় অস্ত্র বের করে পুলিশকে লক্ষ করে গুলি করার চেষ্টা করে। এ সময় তারা ঝুঁকি নিয়ে জাপটে ধরেন। এক পর্যায় স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে এলে তাদের সাথে থাকা দু’টি স্কুল ব্যাগ তল্লাশী করে ৩টি বিদেশি অত্যাধুনিক নাইন এমএম পিস্তল, ১টি পয়েন্ট ৩২ রিভলবার ও ২১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আল মামুন নিজেকে ডাকাত দলের সদস্য স্বীকার করে জানায়, নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার একটি ডাকাতি মামলায় সে গত ২ এপ্রিল কারাগার থেকে বের হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শীব নামক জনৈক ব্যক্তির সাথে সে ডাকাতি করতো। তবে সে মাছ ব্যবসার সাথে জড়িত দাবি করলেও উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলি নিয়ে কোথায় যাচ্ছিল তা জানাতে অস্বীকার করেন।
অপর সদস্য ফারুক হোসেন জানান, তিনি নগরীর বয়রা এলাকায় বাহাউদ্দিন-ইয়াসিন এন্টারপ্রাইজে কাজ করে। তিনি অস্ত্র ও গুলি সম্পর্কে কিছুই জানেনা। তবে আল মামুনের সাথে পূর্ব পরিচিত বলে স্বীকার করেছে।

বিকেলে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ দিকে রাত ৮টায় আল মামুনকে নিয়ে নগরীর মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় তার ভাড়া করা বাসায় তল্লাশী চালাতে গেলে সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ হয়। পুলিশ জানায়,আল মামুন ওই বাসাটি ভাড়া নিয়ে সে তার আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করতো।