দিনাজপুর থেকে রতন সিং: জামায়াতে ইসলামীর নেতার সাথে যোগসাজোশ করে দিনাজপুরে ইয়াংমেনস খ্রিষ্টিয়ান এসোসিয়েশনের (ওয়াইএমসিএ) জমি কৌশলে গ্রাস ও আত্মসাতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়ে দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ইয়াংমেনস খ্রিষ্টিয়ান এসোসিয়েশনের (ওয়াইএমসিএ) প্রতিষ্ঠাতা ও বৈধ সাধারণ সদস্যদের পক্ষে এন্টনী এন.এন. দাশ এক লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, দিনাজপুরের সম্মিলিত বৃহৎ খ্রিষ্টিয়ান সম্প্রদায়ের নিরপেক্ষ সার্বজনীন সেবা প্রতিষ্ঠান ওয়াইএমসিএ শহরের স্টেশন রোডের অফিসের জমি কৌশলে গ্রাস ও আত্মসাত করার ষড়যন্ত্রকারী ফাবিয়ান মন্ডল ও হাবিল লাকড়ার সাথে শহর জামায়াতের আমীর তমিজউদ্দীন আহমেদ যোগসাজশ করেন। পরিকল্পনাকারী খ্রিষ্টিয়ান সমাজের বাইরের ব্যক্তিদের একটি চক্র। ওয়াইএমসিএ’র জমির প্রকৃত মালিক ওয়াইএমসিএ প্রতিষ্ঠান এবং জমির দলিলে বিএস রেকর্ড পর্যন্ত তা পরিষ্কার উল্লেখ আছে।
তিনি অভিযোগ করেন, প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে রেকর্ডিয় প্রতিষ্ঠানের জমি ফাবিয়ান মন্ডল ও হাবিল লাকড়া তাদের নিজেদের ব্যক্তিগত ঠিকানা উল্লেখ করে সাড়ে ৪৩ শতকের মধ্যে সাড়ে ১০ শতক জমি হস্তান্তর আমমোক্তারনামা ও চুক্তিপত্র রেজিষ্ট্রি দলিল সম্পাদন করেছেন। তিনি বলেন, রেজিষ্ট্রি অফিস কর্তৃপক্ষ কীভাবে এরূপ দলিল সম্পাদন করতে পারেন, যেখানে দলিলে ওয়াইএমসিএ এর কোনো বৈধ সদস্যের সাক্ষী নেই এবং প্রতিষ্ঠানের সীল যুক্ত করা হয়নি।
ওয়াইএমসিএ এর প্রকৃত বৈধ সাধারণ সদস্যবৃন্দের সাধারণ সভায় এরকম কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এবং সাধারণ সদস্যবৃন্দ এ বিষয়ে জানেন না। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, একটি সংখ্যালঘু খ্রিষ্টিয়ান সম্প্রদায়ের সার্বজনীন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের জমি প্রতিষ্ঠানের সাজানো কমিটির কিছু সংখ্যক নামধারী ব্যক্তি এবং বহিরাগত অখ্রিষ্টিয়ান ব্যক্তি ষড়যন্ত্র করে এ ধরনের অপকর্ম করার অপচেষ্টা করছে। সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জামায়াতের সাথে আতাঁতকারী ফাবিয়ান মন্ডল ও হাবিল লাকরাসহ দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে আমমোক্তারনামা বাতিলের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিপ্লব তপ্ন, জোসেফ গমেজ, লরেন্স ব্যাক, ভিকটর লাকরা, ম্যাগডোনাল্ড এসপি দাস, প্রনয় রোজারিও, বেনজামিন সরেন, সেম্যুয়াল টুডু, নাথালিউস মারান্ডি এবং কালিসতুস সরকার প্রমুখ।