গফরগাঁওয়ে স্নাতক ছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) থেকে আতাউর রহমান মিন্টু: ময়মনসিংহের গফরগাঁও সরকারি কলেজে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাষ্টের স্নাতক ছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূয়া স্বাক্ষর দিয়ে টাকা উত্তোলন করে পুরো টাকা আতত্মসাৎ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া, তালিকায় নাম তুলতে  অর্থ আদায়, চাহিদা মতন টাকা না দিলে তালিকা থেকে নাম কর্তন, টাকা কেটে রাখাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে এ কলেজের স্নাতক শ্রেণির ছাত্রীদের।

গফরগাঁও সরকারি কলেজে ২০১৫ সালে স্নাতক ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষের ৩২৩ জন ছাত্রীর নামে ৫ হাজার টাকা করে ১৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাষ্ট থেকে উপবৃত্তি হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়। কলেজ কর্তপক্ষ ও অগ্রণী ব্যাংক গফরগাঁও শাখার কর্মকর্তাদের যোগসাজশে কলেজের এক শ্রেণির শিক্ষক-কর্মচারীরা ছাত্রীদের ভূয়া স্বাক্ষর দিয়ে কমপক্ষে ৩০ জন ছাত্রীর উপবৃত্তির সমুদয় টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

স্নতক ২য় বর্ষের ছাত্রী মিথিলা আক্তার, নাজরীন জাহান জানায়, গত বছর উপবৃত্তির তালিকায় তাদের নাম ছিল, তাদের নামে ৫ হাজার টাকা করে উত্তোলনও করা হয়েছে কিন্ত তারা টাকা পায়নি। ব্যাংক কিংবা কলেজের কোনো কাগজে তাদের স্বাক্ষরও নেওয়া হয়নি। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আরিফা আক্তার, শিলা আক্তার জানায়, উপবৃত্তি প্রাপ্তির নীতিমালায় মুক্তিযোদ্ধা পোষ্যদের অগ্রাধিকার থাকলেও একবছর পাওয়ার পর এ বছর তাদের নাম রহস্যজনক কারণে তালিকা থেকে কেটে দেওয়া হয়েছে। নিয়মানুযায়ী তাদের ৩ বছর উপবৃত্তি পাওয়ার কথা। স্নাতক শ্রেণির ২য় বর্ষের ছাত্রী আইরীন আক্তার বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্তদের চাহিদামত ২ হাজার টাকা না দেওয়ায় তার উপবৃত্তির তালিকা থেকে কেটে দেওয়া হয়েছে।

সরকারি বিধি অনুযায়ী, ছাত্রী ছাড়া অন্য কেউ উপবৃত্তির টাকা তুলতে পারেনা। ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজেরাই টাকা উত্তোলন করে ছাত্রীদের মাঝে বিতরণের সময় ৫’শ থেকে ১ হাজার টাকা করে কেটে রাখে।

এ ব্যাপারে কেেলজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুলতান আহম্মেদ বলেন, আমার কাছে অনিয়মের কোন অভিযোগ নেই। আপনাদের কাছে থাকলে লিখিত আকারে দেন।