ঝুলন্ত পার্লামেন্টের পূর্বাভাসের মধ্যে বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে। নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি আর লেবার পার্টির মধ্যে। জনমত জরিপগুলো বলছে কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না।
গার্ডিয়ান পত্রিকার সর্বশেষ জরিপে ফলাফলে দেখা যায়, ভোটারদের ৩৫ শতাংশের অভিপ্রায় ডেভিড ক্যামেরনের কনজারভেটিভ পার্টিকে ভোট দেওয়ার। ঠিক সমপরিমাণ ভোটার এড মিলিব্যান্ডের লেবার পার্টিকে ভোট দেওয়ার ইচ্ছে ব্যক্ত করেছেন। বাকি ৩০ শতাংশ ভোটারের ৯% লিবারেল ডেমোক্র্যাটস, ৫% স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি এবং বাকিরা অন্যান্য দলকে ভোট দেবেন। এ হিসেব উভয় দলের সম্ভাব্য আসন সংখ্যা কম-বেশি ২৭০টি হতে পারে।
হাউজ অব কমন্সের আসন সংখ্যা ৬৫০। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দরকার অন্তত ৩২৬টি আসন। ফলে নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো ‘ঝুলন্ত পার্লামেন্ট’ হতে যাচ্ছে বলে আভাস মিলেছে। ২০১০ সালে নির্বাচনেও কেউই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি, তখন কনজারভেটিভদের সরকার গঠন করতে হয়েছিল লিবারেল ডেমোক্রেটদের সঙ্গে জোট বেঁধে।
বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ১১ প্রার্থী
এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ১১ জন এমপি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের সাতজন লেবার পার্টির টিকেটে। জরিপে এদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিকী, বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত প্রথম বৃটিশ এমপি রুশনারা আলী ও রুপা হক। এ তিনজন ছাড়াও লেবার পার্টির হয়ে লড়ছেন মিরিনা আহমেদ, আনওয়ার বাবুল মিয়া, আলী আখলাকুল এবং এমরান হোসাইন। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী হয়েছেন মিনা রহমান। লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হয়েছেন আশিক আহমেদ, মোহাম্মদ সুলতান ও সাদিক চৌধুরী।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি বাংলা, চ্যানেলআইঅনলাইন