প্রাক-নির্বাচনী সব পূর্বাভাস ওলট-পালট করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের কনজারভেটিভ পার্টি হাউজ অব কমন্সে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। ফলে সরকার গঠনের জন্য তাদের তার অন্য কোনো দলের ওপর নির্ভর করতে হবে না।
বৃহস্পতির অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফলে কনজারভেটিভ পার্টি ৩২৭টি আসন পেয়েছে। ৬৫০ আসনের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৩২৬ আসনের। ডেভিড ক্যামেরনই বহাল থাকছেন প্রধানমন্ত্রী পদে।
অন্যদিকে এড মিলিব্যান্ডের লেবার পার্টি পেয়েছে ২৩২ আসন। গত তিন দশকের মধ্যে এটাই এ দলের সবচেয়ে খারাপ ফলাফল। পরাজয়ের দায়িত্ব মেনে নিয়ে দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মিলিব্যান্ড।
নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চমক দেখিয়েছে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি)। স্বাধীন স্কটল্যান্ড আন্দোলনের নেতা নিকোলা স্টারজেনের এসএনপি স্কটল্যান্ডের ৫৯টি আসনের মধ্যে ৫৬ টিতেই জয়ী হয়েছে। এর আগে তাদের আসন সংখ্যা ছিল মাত্র ছয়। আর ৪০ আসন হারিয়ে স্কটল্যান্ডে বড় ধরনের ভরাডুবি ঘটেছে লেবার পার্টির।
অন্য দলগুলোর কোনওটিরই আসন সংখ্যা দুই অংকে পৌঁছায়নি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দল হলো বর্তমান সরকারের মিত্র লিবারেল ডেমোক্রেটস। তারা মাত্র নয়টি আসন পেয়েছে।
বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত তিন প্রার্থী জয়ী

বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত প্রার্থী টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক, রুপা হক এবং রুশনারা আলী তিনজনই নিজেদের আসনে জয়ী হয়েছেন। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূতদের আসনগুলোর মধ্যে আলোচিত ছিল লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন। সেখানে লেবার পার্টির টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক এক হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থীকে হারিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে।
এছাড়া পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনে ২৪ হাজার ভোটের বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন রুশনারা আলী। তিনি দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাজ্যে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হলেন। রুপা হক জয়ী হয়েছেন ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসনে।
সূত্র: বিবিসি ও সিএনএন