হাকিম বাবুল, শেরপুর: মেয়ে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন শাশুড়ি। সদর উপজেলার ধোবারচর কামারপাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ খুনের ঘটনা ঘটে। নিহত ফরিদা বেগম (৫০) ওই গ্রামের আব্দুস সামাদের স্ত্রী। খুনের পরই মেয়ে জামাই আশরাফুল আলম ওরফে কেমফু মিয়া (২৫) পালিয়ে যায়।
বলাইর চর ইউনিয়নের ইউপি মেম্বার ফারুক আহম্মদ জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, প্রায় ৮/৯ বছর আগে আব্দুস সামাদের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দুই কন্যা সন্তানসহ বিধবা ফরিদা বেগমকে বিয়ে করেন। এক পর্যায়ে পারিবারিক সম্মতিতে ফরিদা বেগমের আগের দিকের বড় মেয়েকে সামাদের ছেলে আশরাফুল আলম কেমফু মিয়ার কাছে বিয়ে দিয়ে সৎ মা থেকে শাশুড়ি হন। বিয়ের পর আশরাফুল এক সন্তানের বাবা হন। কিন্তু আয়-রোজগারহীন আশরাফুলকে ছেড়ে কয়েক মাস আগের সন্তানসহ তার স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করতে চলে যায়। এ নিয়ে ফরিদা বেগমের সাথে কেমফু মিয়ার পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে এনিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। দুপুর সোয়া দুইটার দিকে বাড়ির ভেতর টিউবঅয়েল পাড়ে থালাবাসন পরিষ্কার করার সময় ফরিদা বেগমকে পেছন থেকে ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। ঘটনার পর পরই ঘাতক আশরাফুল আলম কেমফু মিয়া পালিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ওসি মাজহারুল করিম জানান, এ খুনের ঘটনায় নিহতের স্বামী আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে ছেলে আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আশরাফুলকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযানে নেমেছে।