দিনাজপুর থেকে রতন সিং: দিনাজপুর সরকারী মহিলা কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের আগেই খাতা নিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ ও ভাংচুর করেছে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
দিনাজপুর সরকারী মহিলা কলেজ কেন্দ্রে দিনাজপুর সরকারী কলেজ, দিনাজপুর সঙ্গীত কলেজ, হলিল্যান্ড কলেজ ও কমার্শিয়াল কলেজের মোট ৭৭৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। ওই কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থ ১ম পত্র বিষয়ে ৫৭১জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ১৬১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষা চলার নিয়ম বিজ্ঞান বিভাগে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২ টা ১০ পর্যন্ত লিখিত ও পরবর্তী ১০ মিনিট বিরতি শেষে ৩৫ মিনিট নৈব্যক্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করে, লিখিত পরীক্ষা দুপুর ১২ টা ১০ মিনিটে শেষ হলেও নৈব্যক্তিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে প্রায় ১৪ মিনিট পর। এতে করে তাদের ৪ মিনিট ক্ষতি হয়েছে। এরপর নৈব্যক্তিক খাতা নিয়ে নেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই। ১২ টা ৫৫ মিনিটে ঘন্টা দেওয়ার কথা থাকলেও এর ৩/৪ মিনিট আগে ঘন্টা পড়েছে এবং দায়িত্বরত শিক্ষকরা তাদের খাতা কেড়ে নিয়েছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের কোনও কথা শোনা হয়নি। এতে করে অনেকেই পুরো নৈব্যক্তিক দাগাতে পারেনি।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কেন্দ্রের ২০৬ (ক) ও ২০৬ (খ) নং কক্ষের শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে তারা কলেজের লাইট ও টেবিল-চেয়ার ভাংচুর করে। এ সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও বিক্ষোভ করা শিক্ষার্থীদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী হওয়ায় তাদের সাথে এই আচরণ করা হয়েছে। শুধু এই পরীক্ষাতেই নয়, অন্যান্য পরীক্ষাতেও তাদের সাথে এই ধরনের আচরণ করা হয়। আর উপযুক্ত প্রতিবাদ জানানোয় তাদেরকে পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর কোতয়ালী থানার এসআই বিশ্বনাথ দাস জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা এড়াতে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়া হয়েছে। কারণ ওই পরীক্ষার পরেও একটি পরীক্ষা ছিল।
দিনাজপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আনজুমান আখতার জানান, নির্দিষ্ট সময়ে ঘন্টা দেওয়া হয়েছে এবং তাদের খাতা নেওয়া হয়েছে। এখানে কোনও ধরনের অনিয়ম করা হয়নি। পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র কঠিন হওয়ায় শিক্ষার্থীরা অযৌক্তিকভাবে অতিরিক্ত সময় দাবি করছিল। তাদের কথা মেনে না নেওয়ায় তারা বিক্ষোভ ও ভাংচুর করেছে। বিষয়টি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।