লক্ষ্মীপুরে টেন্ডার জালিয়াতির অভিযোগে মৎস্য কর্মকর্তাকে লিগ্যাল নোটিশ

লক্ষ্মীপুর থেকে বেলাল হোসেন জুয়েল: লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জাটকা ধরা থেকে বিরত জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য ইলিশ জাল সরবরাহে টেন্ডার জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কয়েকজন ঠিকাদার অবৈধভাবে তাদের দরপত্র বাতিলের অভিযোগ এনে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতের এ্যাডভোকেট মুহাম্মদ রহমত উল্যাহ বিপ্লব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স বাপ্পী ট্রেডার্সের মালিক মো. আবদুল ওয়ারেছের পক্ষে এ লিগ্যাল নোটিশ দেন। জাটকা সংরক্ষণ, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান ও গবেষণা প্রকল্প’র আওতায় ৪নং এইচটি সুতার ইলিশ জাল সরবরাহের জন্য গত (এপ্রিল) মাসে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় এ দরপত্র আহ্বান করে।

প্রকল্পে উপজেলার ৪৫০ জন জেলেকে ৪৫ লাখ টাকার ৪নং এইচটি সুতার ইলিশ জাল সরবরাহ করা হবে বলে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়।

‘মেসার্স বাপ্পী ট্রেডার্স’র স্বত্বাধিকারী উপজেলার আলেকজান্ডার এলাকার মো. আবদুল ওয়ারেছ ও মো. মোসলেহ উদ্দিনসহ দরপত্রে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন ঠিকাদার সোমবার জানান, উন্মুক্ত দরপত্র বিজ্ঞপ্তিতে চাওয়া যোগ্যতা অনুসরণ করে ৩৩ জন ঠিকাদার দরপত্রে অংশগ্রহণ করেন। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখে দরপত্রের বাক্স খুলে ঠিকাদারদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন দরে ৩৩ জন দরদাতার তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত তালিকা থেকে কোনো কারণ ছাড়াই ২৪ জন ঠিকাদারের দরপত্র বাতিল করে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত নয়জন দরদাতাকে তাদের প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মূলকপি জমা দেওয়ার জন্য সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পত্র দেওয়া হয়।

ঠিকাদাররা আরও জানান, তিনি একটি মহলের যোগসাজশে মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে সর্ব নিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ না দিয়ে পছন্দনীয় ঠিকাদারের দরপত্রে নিম্নদর উল্লেখ করে কার্যাদেশ অনুমোদনের জন্য গোপনভাবে অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তব পাঠান।

দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘দরপত্রের সাথে দাখিল করা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার সময় কিছু কাগজপত্রে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালার (পিপিআর) শর্তানুযায়ী দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশে কাগজপত্রে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৬ জন ঠিকাদারের দরপত্র বাতিল করা হয়।’

তিনি জানান, কোনো ঠিকাদারের নাম সুপারিশ অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের নিকট এখনো পাঠানো হয়নি।