মালেশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার উপকূলীয় এলাকা থেকে অন্তত ৫৫৫ বাংলাদেশীসহ প্রায় ২ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম উপকূলে আজ সোমবার সকালে একটি নৌকা থেকে ৪০০ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে রোববার মালেশিয়ার লাংকাওয়াই দ্বীপের কাছ থেকে ১ হাজার ৩৮ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। রোববার ইন্দোনেশিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অ্যাচে প্রদেশের উপকূল থেকে আরও ৫৭৩ জনকে উদ্ধার করা হয়।
মালেশিয়া পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রোববার থেকে পাচারকারীরা প্রায় ১ হাজার ৩৮ অভিবাসীকে লাংকাওয়াই দ্বীপের উপকূলের কাছে এনে সাগরে নামিয়ে দেয়। এদের মধ্যে ৫৫৫ জন বাংলাদেশী। বাকিরা মায়ানমারের নাগরিক।
তবে ইন্দোনেশিয়ায় উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে বেশিরভাগই মায়ানমারের রোহিঙ্গা। এদের মধ্যে কোনও বাংলাদেশী রয়েছেন কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মানব পাচারকারীরা তিনটি নৌকায় করে এসব অভিবাসীদের মালেশিয়ার উপকূলে নামিয়ে দেয়। তাদের সাঁতরে তীরে উঠতে বলা হয়। অনাহার ও ক্লান্তিতে সবাই কাহিল হয়ে পড়েছেন। তাদের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের আশ্রয়ে রাখা হয়েছে।
পাচারকারীদের দুটি নৌকা পালিয়ে গেলেও একটি আটক করতে পেরেছে মালেশিয়ার পুলিশ।
এসব অভিবাসীদের গন্তব্য ছিল থাইল্যান্ড। সেখানে গত সপ্তাহে গণকবরের সন্ধান পাওয়ার পর থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করায় তাদের মালেশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় এনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে এরকম আরও অভিবাসী সাগরে রয়েছে। তাদের উপকূলে নামিয়ে দেওয়া হতে পারে। উভয় দেশে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ স্থানীয় জেলেদের সহায়তা নিয়ে টহল জোরদার করেছে। সূত্র: ব্যাংকক পোস্ট