মঙ্গলবার দুপুরে আবারো শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে চীন ও নেপালে। এ ঘটনায় দেশটিতে অন্তত ২৯ জন নিহত ও সহস্রাধিক লোক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ ও ভারতেও এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্প শুরু হলে রাজধানীতে অনেক ভবন থেকে লোকজন রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
আট দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই হিমালয়কন্যা নেপাল আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো। মঙ্গলবার (১২ মে) দুপুর ১টা ৭ মিনিটে অনুভূত এই ভূমিকম্পে একযোগে কেঁপে ওঠে নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারত।
নেপালের কোদারিতে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলে এর মাত্রা ছিলো রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৪।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ৮৩ কিলোমিটার পূর্বে ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল বলে জানিয়েছে মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে। যার উৎপত্তিস্থল ছিলো ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১৮.০৫ কিলোমিটার গভীরে।
মূল ভূমিকম্পের পরবর্তী ৪০ মিনিটে চারবার দফা পরাঘাতের (আফটার শক) অনুভূত হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চটির মাত্রা ছিলো ৬.১।
এ ঘটনায় ২৯ জন নিহত হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া আহত হয়েছে এক হাজার ৬ জন।
নিহতদের মধ্যে চৌতারা এলাকায় ৪ জন, রাজধানী কাঠমান্ডুতে ৩ জন, সিন্ধুপলচোক এলাকায় ৩ জন, দোলাখা এলাকায় ৫ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া সারলাহি ও ধানাউশা জেলায়ও একজন করে নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নিহত বাকি ১২ জন সম্পর্কে এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল ভয়াবহ ভূমিকম্পে একযোগে কেঁপে ওঠে নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশ। এ ঘটনায় নেপালে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়া অন্তত ১৬ হাজার আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ওই ভূমিকম্পে নেপালে প্রায় তিন লাখ বাড়িঘর সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।