গফরগাঁওয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার হাতে নারী সহকর্মী লাঞ্চিত, ঘেরাও-বিক্ষোভ

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) থেকে আতাউর রহমান মিন্টু: ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে একজন নারী সহকর্মী লাঞ্চিত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি অফিসের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষাভ প্রর্দশন করে।

সকাল সাড়ে দশটার দিকে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী মোমেনা সুলতানাকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ করছেন।

শিক্ষা কর্মকর্তার উচ্চস্বরের গালিগালাজ শুনে ঘটনাস্থলে প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষক, শিক্ষা অফিসের কর্মকতা-কর্মচারী ভিড় করে। উপস্থিত লোকজনের সামনেই শিক্ষা কর্মকর্তা মোমেনা ইসলামকে লাথি দিয়ে কক্ষ থেকে বের করে দিতে চায় এবং শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করার চেষ্টা চালায়। উপস্থিত লোকজনের হস্তক্ষেপে মোমেনা শারিরীক লাঞ্চনা থেকে রক্ষা পায়। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন বিভাগীয় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করে ও বিক্ষাভ প্রর্দশন করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এ ব্যাপারে মোমেনা সুলতানা বলেন, আমার ভুল হয়ে থাকলে স্যার আমাকে বিভাগীয় যে শাস্তি দিতেন আমি তা মেনে নিতাম, শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সামনে আমাকে এভাবে অপমান-অপদস্থ ও আমার গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করা ঠিক হয়নি।

উপজেলা তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোঃ আবু সাঈদ হায়দার বলেন, বিভিন্ন কর্মস্থলে নিজের অতীতের খারাপ রেকর্ডের কথা বলতে বলতে ওই  শিক্ষা কর্মকর্তা তার অধিনস্থ নারী কর্মচারীকে লাঞ্চিত করেছে। তারা শিক্ষা কর্মকর্তার শাস্তি দাবি করেন।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম নারী সহকর্মীকে লাঞ্চিত করার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষকদের টাইম স্কেলের ফাইলে ভুল থাকায় তাকে ডেকে শাসন করা হয়েছে।

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু জানান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও একই অফিসের উচ্চমান সহকারীর মধ্যে যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল তা মিমাংসা করে দেওয়া হয়েছে।