রংপুর থেকে জয়নাল আবেদীন: রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি হুমায়ুন কবীর বলেছেন অপরাধীদের সনাক্ত করতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে সহযোগিতা করতে হবে। তবেই মাদকমুক্ত সমাজ গড়া সম্ভব। পুলিশ চাইলেই মাদক নিমূর্ল করা সম্ভব। তবে জনগণকে আরো সচেতন হতে হবে এবং পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর রেঞ্জের ৮ জেলায় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারসহ আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অবদান রাখায় ১১ পুলিশ সদস্যকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন ।
রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসী ও নাশকতা সৃষ্টিকারীদের গ্রেফতার সেই সঙ্গে মাদকদ্রব্যের পাচার, চালান ও ব্যবসা বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলায় ডিআইজি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ পুলিশ সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন । এদের মধ্যে রংপুর কোতয়ালী থানার ভাররপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের জিলানী ৪র্থ বারের মতো শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শকের মর্যাদা লাভ করেন।
এছাড়াও শ্রেষ্ঠ জেলা হিসেবে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার তবারক উল্লাহ, গাইবান্ধায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে ১০ যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় মূল আসামিদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিয়ে সহায়তা করায় গাইবান্ধা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কনস্টেবল মশিউর রহমান, শ্রেষ্ঠ সার্কেল এএসপি হিসেবে রংপুর ‘বি’ সার্কেলের এএসপি হাসান মোহাম্মদ নাছের রিকাবদার, শ্রেষ্ঠ ডিএসবি অফিসার হিসেবে পঞ্চগড় জেলার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুর রহমান, শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশ অফিসার হিসেবে রংপুরের পীরগাছা থানার এসআই আব্দুল মালেক শাহ, শ্রেষ্ঠ উদ্ধারকারী পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই ফজলুর রহমান, চৌকস এসআই হিসেবে নীলফামারী জেলার সদর থানার এসআই আরমান আলী, শ্রেষ্ঠ কোর্ট অফিসার গাইবান্ধা সদর কোর্টের এএসআই শাহ আলম, শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক অফিসার নীলফামারীর সার্জেন্ট জ্যোর্তিময় রায় এবং চৌকস এএসআই হিসেবে রংপুর কোতয়ালী থানার এএসআই আমিনুল ইসলামকে পদক দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে রংপুর রেঞ্জের ৮ জেলার পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন।