খুলনায় ৩ কোটি টাকার সার আত্মসাতের অভিযোগে মামলা

খুলনা থেকে সোহরাব হোসেন: বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) খুলনার গুদাম থেকে ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকার সার প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে সহকারি ভান্ডার কর্মকর্তা কেএম জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ।

খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানায় দায়ের হওয়া মামলার বাদী খুলনা বিএডিসি’র সহকারি পরিচালক (সার) মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন মোল্লা।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল খুলনায় সার গুদামে ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকার সার ঘাটতির দায়ে তাকে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

রোববার বিএডিসি’র অফিসে গিয়ে জানা যায়, মামলা দায়েরের পর থেকে সহকারি ভান্ডার কর্মকর্তা কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। তাকে গত ১২ মে’র মধ্যে গুদামের সকল মালামাল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও তিনি তা করেননি।

খুলনার বিএডিসি গুদামে সার ঘাটতি ও নিম্নমানের সার মজুদ সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগের পর সংস্থাটির পক্ষ থেকে ৬ সদেস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়। বিএডিসি’র যুগ্ম পরিচালকের নেতৃত্বে তদন্তকালে সারের গরমিলের বিষয়টি ধরা পড়ে।

তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিএডিসি’র সচিব (সার) দেলওয়ার হোসেন সহকারি ভান্ডার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন। একইসাথে সরকারি মালামাল আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এর আগে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ দিয়ে চাকুরির মেয়াদ বৃদ্ধির চেষ্টা করতে গিয়ে সহকারি ভান্ডার কর্মকর্তা ব্যর্থ হন। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশনা অমান্য করার অভিযোগও রয়েছে।