শেরপুর থেকে হাকিম বাবুল: শেরপুরে বাস-কোচ মালিক সমিতি ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বে শনিবার থেকে দূরপাল্লার বাস-কোচ চলাচল বন্ধ রয়েছে। রবিবার (১৭ মে) দুপুরে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি আলোচনা হলে সমস্যা সমাধানের জন্য সভায় উপস্থিত স্থানীয় সংসদ সদস্য হুইপ আতিউর রহমান আতিককে অনুরোধ করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা সভা শেষে শহরের রঘুনাথ বাজার জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে হুইপ আতিক জেলা বাস-কোচ মালিক সমিতি ও জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বৈঠক করেন। কিন্তু কোনো পক্ষ সমঝোতায় না আসায় উভয়পক্ষকে স্থিতবাবস্থা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে মঙ্গলবার (১৯ মে) জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষে বিষয়টি সুরাহা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে বকশীগঞ্জ থেকে নারায়নগঞ্জগামী একটি বাস চলাচলকে কেন্দ্র করে শেরপুর জেলা সড়ক পরিবহন ইউনিয়নের শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সষ্টি হয়। এতে শ্রমিক-মালিক উভয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার রাতে নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে শ্রমিক-মালিকদের একাংশ এক সমাবেশ করে। সমাবেশ থেকে আন্ত:জেলা রুটের সকল গাড়ি নবীনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে চলাচলের দাবি জানানো হয়। তারা শনিবার শহরে মালিক সমিতির সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে প্রতিকার দাবিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য হুইপ আতিকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে। মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য দূরপাল্লার বাস-কোচ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে।
এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা বাস-কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম স্বপন জানান, শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফার চাঁদাবাজির কারণে বাস মালিক ও শ্রমিকরা গাড়ি চলাচল বন্ধে বাধ্য হয়েছে। ব্যাপারটি নিয়ে হ্ইুপ আতিক রবিবার দুপুরে মালিক ও শ্রমিক নেতৃবন্দের সাথে বৈঠক করেছেন, কিন্তু এতে কোনো সমঝোতা হয়নি। উভয়পক্ষকে তিনি স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে ১৯ মে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পর উভয়পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের কথা বলেছেন।
এ বিষয়ে শেরপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ওরফে মস্তু ড্রাইভার বলেছেন, মালিক সমিতির করা সব অভিযোগ মিথ্যা। হুইপ আতিক আমাদের মালিক-শ্রমিকদের নিয়ে বসেছিলেন। যেহেতু আওয়ামী লীগের সম্মেলন তাই দুইদিন পর বসে বিষয়টি সমাধানের কথা বলেছেন, আমরা মেনে নিয়েছি।