শেরপুর থেকে রেজাউল করিম বকুল: সাড়ে ১১ বছর পর মঙ্গলবার (১৯ মে) শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। শহরের শহীদ দারোগ আলী পৌরপার্ক মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ।
সম্মেলন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। এতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, এলজিইআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রধান অতিথি ও আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
বিশেষ অতিথিদের মধ্যে থাকবেন সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এমপি ও কাজী জাফরুল্লাহ, যুগ্ম-সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক, উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মীর্জা আজম, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নজরুল হামিদ বিপু এমপি, এ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন মেহেদী, প্রকৌশলী একেএম ফজলুল হক চাঁন এমপি ও প্রভাষক ফাতেমাতুজ্জহুরা শ্যামলী।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি। সঞ্চালনা করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সস্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। জেলা শহরে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। শহরের প্রধান প্রধান মোড় ও রাস্তার দু’পাশ ছেঁয়ে গেছে বিশাল বিশাল সাইনবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুনে। তৈরি হয়েছে বেশ কিছু সুউচ্চ তোরণ। সম্মেলন সফল করতে বিদায়ী সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের তত্বাবধানে চলছে উপ-কমিটির মিটিংসহ নানা তৎপরতা। সার্বিক প্রস্তুতিও প্রায় চূড়ান্ত।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাভোকেট চন্দন কুমার পাল জানিয়েছেন, এবারই প্রথম মুক্তমঞ্চে ব্যতিক্রমী পরিবেশে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পুরো মাঠ জুড়ে বিশাল সামিয়ানা টানিয়ে সম্মেলন স্থলে ১০ হাজার লোকের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সম্মেলন শেষে কাউন্সিল অধিবেশনে ৫ উপজেলা ও শেরপুর শহর কমিটি থেকে জনসংখ্যা অনুপাতে ১০০ এবং সভাপতি-সম্পাদকের বিশেষ ক্ষমতাবলে আরও ৩০ জনসহ মোট ১৩০ জন কাউন্সিলর এবারের নতুন কমিটি গঠন করবেন। তবে সম্মেলনের মাত্র একদিন বাকী থাকলেও এখনও বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বাইরে অন্য কোনও প্রার্থীর নাম শোনা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই তারা দ্বিতীয় দফায় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন।
এ ছাড়া ৭১ সদস্যবিশিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য শীর্ষ পদগুলোতে পরিবর্তনের তেমন সম্ভাবনা নেই। বিদায়ী কমিটির নেতারাই স্ব-স্ব পদে বহাল থাকবেন। তবে নীচের দিকে কিছু সম্পাদকীয় পদে রদবদল এবং যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক কিছু নেতৃবৃন্দকে নতুন কমিটিতে স্থান দেওয়া হতে পারে। আর দুই একজন হয়তো বাদ পড়তে পারেন এবং কয়েকটি শূণ্য পদে নতুন মুখ আসতে পারেন- এমন আলাপ-আলোচনা চলছে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে।
২০০৩ সালের ২৩ অক্টোবর শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল। ওই সম্মেলনে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে জাতীয় সংসদের বর্তমান হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি সভাপতি ও এডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর দু’দফায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন হলেও শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের কোনো সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন হয়নি।