সাগরে ভাসমান অভিবাসীদের সাময়িক আশ্রয় দিতে সম্মত হয়েছে মালেশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অভিবাসীদের মানবিক বিপর্যয়ের পর বুধবার তাদের আশ্রয় দিতে রাজি হয় দেশ দুটি। সমস্যাটিকে একটি বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করে দেশ দুটি আন্তর্জাতিক সহায়তাও চেয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া, মালেশিয়া ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক জরুরি বৈঠকের পর মালেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিফাহ আমান এ তথ্য জানান। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এক বছরের মধ্যে অভিবাসীদের দেশে ফিরে যেতে সহায়তা করতে হবে বলে জানান তিনি।
থাইল্যান্ড নতুন কোনও অভিবাসীকে আশ্রয় দিবে না। দেশটিতে ইতোমধ্যে মায়ানমারের হাজার হাজার অভিবাসী আশ্রয় নিয়েছে। তাই নতুন অভিবাসীদের সহায়তা দেওয়া দেশটির পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
গত কয়েক সপ্তাহে ৩ হাজারের বেশি মায়ানমার ও বাংলাদেশী অভিবাসী দেশ তিনটিতে আশ্রয় নিয়েছে। মায়ানমারের রোহিঙ্গারা জাতিগত সহিংসতার ফলে দেশ ছাড়ছে আর বাংলাদেশের অভিবাসীরা বেশিরভাগই পাচারের শিকার। এর বাইরেও কয়েক হাজার অভিবাসী অনাহার-অর্ধাহারে নৌকার মধ্যে সাগরে ভাসছে। এদের অনেকে মালেশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় ঢুকতে চাইলেও দেশ দুটির নিরাপত্তা বাহিনী নৌকাগুলোকে নিজেদের জলসীমা থেকে তাড়িয়ে দেয়। তবে নৌকাগুলোতে খাবার ও পানি সরবরাহ করা হয়। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ক্রমাগত অনুরোধের ফলে শেষ পর্যন্ত দেশ দুটি অভিবাসীদের সাময়িক আশ্রয় দিতে রাজি হয়। সূত্র: এপি