স্বপন কুমার কুন্ডু, ঈশ্বরদী (পাবনা): বেলা সাড়ে ১১টা। বিমানবন্দর সড়কে ভাড়া নিয়ে ঈশ্বরদীর দিকে ভ্যান চালিয়ে আসছিলেন সাদিপুর গ্রামের মোমেন আলী। হঠাৎ টলে পড়ে জ্ঞান হারালেন। ভ্যানটি গড়িয়ে রাস্তা ছেড়ে নিচে নেমে গেল। যাত্রীরা লাফ দিয়ে নেমে গেলেন। মোমেনকে ধরাধরি করে নেয়া হলো রাজু সিনেমা হলের পাশে এক চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসক বললেন, হিটস্ট্রোকে এরকম হয়েছে।
ঈশ্বরদীর বিভিন্ন এলাকা হতে শুক্রবার ১০ জনের হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন দাশুড়িয়া তেঁতুলতলায় আফসার ও হারুন, আইকে রোডে রহমত ও মিজান দেওয়ান, মুলাডুলিতে খায়বর ও তুহিন বিশ্বাস এবং শহরের আলহাজ্ব মোড়ে রওশন আলী ও জাহিদুল।
ঈশ্বরদীতে তীব্র গরম পড়ছে। বাতাসে যেন আগুনের হল্কা। দিনভর তাপপ্রবাহ ও রাতে ভ্যাপসা গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠছে জনজীবন। বৃষ্টির জন্য সবাই উন্মুখ হয়ে আছে।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস শুক্রবার চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৮ ডিগ্রি। বাতাসের আর্দ্রতা সকালে ছিল ৩৯.২ শতাংশ এবং সন্ধ্যা ছয়টায় ছিল ২৮.৫ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার এখানকার তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি থাকলেও একদিনের ব্যবধানে ২.৫ ডিগ্রি বেড়ে যাওয়ার পাশাপশি বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় গরম আরও বেশি অনুূভূত হচ্ছে। তীব্র গরমে কাহিল হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ। এদিকে গাছের আম শুকিয়ে ঝরে যাচ্ছে। পাশাপশি গাছের লিচু ফেটে যাচ্ছে। খেটে খাওয়া মানুষ সবচেয়ে বেশি কষ্টের মধ্যে পড়েছেন।