প্রতিনিধি, খুলনা: ঢাকাগামী পরিবহন ধর্মঘটের পাশাপাশি শুক্রবার থেকে খুলনা বিভাগীয় আন্তঃজেলা পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ধর্মঘটের কারণে বিভাগের ১০ জেলা শহর থেকে দূরপাল্লার কোনও বাস-মিনিবাস ছেড়ে যাচ্ছে না। এ কারণে দূরপাল্লার যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার মধ্যে দু বাস শ্রমিককে নিঃশর্ত মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার এবং ফরিদপুর পুলিশ সুপার ও মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের সময় বেঁধে দিয়েছিল খুলনা বিভাগীয় পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। কিন্তু প্রশাসন মালিক-শ্রমিকদের দাবি না মানা শুক্রবার থেকে ঢাকা-বরিশালসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৮টি রুটের পাশাপাশি খুলনা বিভাগের সব লোকাল রুটে গাড়ি চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন খুলনা বিভাগীয় পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা।
খুলনা বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনা জানান, ঢাকাগামী পরিবহন ধর্মঘটের পাশাপাশি শুক্রবার থেকে খুলনা বিভাগীয় আন্তঃজেলা পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছ। ধর্মঘটের কারণে বিভাগীয় শহর খুলনা ও জেলা শহর থেকে দূরপাল্লার কোনও বাস-মিনিবাস ছেড়ে যাচ্ছে না। তবে খুলনা আন্তঃজেলা সড়কে অল্প কিছু বাস চলছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা যশোরের সভাপতি আজিজুল আলম মিন্টু জানান, সোমবার রাতে ঢাকার গাবতলী থেকে সোহাগ পরিবহনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি বাস বেনাপোলের উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসে। বাসটি ফরিদপুরে পৌঁছলে এতে ডাকাতি হয়। এর পর বাসের চালক সরাসরি মধুখালী থানায় গিয়ে গাড়ি থামান। এ সময় তিনি যাত্রীদের নিয়ে থানায় মামলা করতে যান। কিন্ত ওসি মামলা না নিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। এরপর পুলিশ সুপারের নির্দেশে তিনি চালক আয়নাল ও চেকার রবিউল ইসলামকে আটক করেন।
তিনি জানান, আটক দু শ্রমিককে নিঃশর্ত মুক্তি, ফরিদপুরের পুলিশ সুপার ও মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিলো। প্রশাসন তাদের দাবি না মানায় ঢাকাগামী পরিবহন ধর্মঘটের পাশাপাশি শুক্রবার থেকে আন্তঃজেলা পরিরহন ধর্মঘট পালন করছেন তারা।