আতাউর রহমান মিন্টু, গফরগাঁও (ময়মনসিংহ): গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার উস্থি ইউনিয়নের শিউলি গ্রামে দু দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছে। সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ছয়জন আহত হয়।
নিহতরা হলেন কান্দাপাড়া গ্রামের খাঁ বাড়ির ছামাদ খাঁ (৫৮) এবং কালাম খাঁ (৫৫)। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের একটি মসজিদের রাস্তার সীমানাকে কেন্দ্র করে কান্দাপাড়া গ্রামের খাঁ বাড়ির লোকজনের সাথে পাশের শিউলি গ্রামের মীরবাড়ির লোকজনের কথাকাটাকাটি হয়। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মীরবাড়ির লোকজন খাঁ বাড়ির তসলিম খাঁকে (৩২) এলোপাথাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শিউলি গ্রামের মীরবাড়ির সামনে উভয়পক্ষ মহড়া দেয়। এক পর্যায়ে মীরবাড়ির লোকজন খাঁ বাড়ির লোকজনের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ছামাদ খাঁ ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত কালাম খাঁ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
গুরুতর আহত মোস্তফা খাঁ (৪৫), খায়রুল খাঁ (৩৫), তসলিমকে ময়নমনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে এসআই হাবিবের নেতৃত্বে পাগলা থানা পুলিশ শিউলি গ্রামে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় অভিযুক্ত লিয়াকত (৬১) ও তার ছেলে সজলকে (২৪) আটক করে। এসআই মুক্তার ও কনস্টেবল হালিম অভিযুক্ত সজলকে নিয়ে কান্দাপাড়া গ্রামে খাঁ বাড়ির কাছে আসলে উত্তেজিত জনতা আক্রমণ করে ছুরিকাঘাত করে ও পিটিয়ে পুলিশ হেফাজতে থাকা সজলকে আহত করে। এ সময় দু পুলিশ সদস্যও আহত হন।
নিহতদের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মযমনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পাগলা থানার ওসি বদরুল আলম খান বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।