রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাংচুর, আহত ৪০

হায়দার হোসেন, গোপালগঞ্জ: টুঙ্গিপাড়ায় এক নারী রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যাপক হামলা ও ভাংচুর হয়েছে। আজ দুপুর আড়াইটার দিকে সহস্রাধিক বিক্ষুব্ধ মানুষ হাসপাতালটিতে হামলা চালায়।

tungipara hospital attack
ভাংচুরের পর হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন রোগীরা।

হামলায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পবিত্র কুমার কুন্ডু, একজন নার্স ও এক পুলিশসহ অন্তত ৪০ জন আহত হন। পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ভাংচুরের পর রোগীরা হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান।

এলাকাবাসী জানায়, ১৯ মে খাদিজাতুল কোবরা (২২) নামের ওই রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর জন্য চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে হামলা চালানো হয় বলে জানান তারা।

খাদিজার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সহস্রাধিক এলাকাবাসী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে জড়ো হয়ে ভাংচুর চালায়। ঘন্টাব্যাপী এ তাণ্ডবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিচতলা থেকে তৃতীয় তলা পর্যন্ত জানালা-দরজা, টেবিল-চেয়ার ও অন্যান্য আসবাবপত্র তছনছ হয়ে যায়।

এসময় ডা. পবিত্র কুমার কুন্ডু, নার্স কাকতি লতা পাল ও এক পুলিশসহ অন্তত ৪০ জন আহত হন। পরে পুলিশ এসে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ ঘটনার পরপরই ভর্তি অন্যান্য রোগীরা হাসপাতাল ছেড়ে যায়।

ঘটনার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মো. খলিলুর রহমান ও পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় পুলিশ সুপার বলেছেন, ঘটনার সাথে যারা জড়িত রয়েছে তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ দিকে এ ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক বলে উল্লেখ করে বিএমএ গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ডা. আবিদ হোসেন বলেছেন, শনিবার থেকে শুধুমাত্র জরুরি বিভাগ ছাড়া সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকবে।