নেত্রকোনা থেকে মীর মনিরুজ্জামান: নেত্রকোনা সদর উপজেলার কালিয়ারা গাবরাগাতি, রায়পুর ও মৌগাতি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে শুক্রবার রাতে বয়ে যাওয়া প্রচণ্ড ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে কালিয়ারা গাবরাগাতি ইউনিয়নের ভাসাটি গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিনের স্ত্রী উকিলেনেচ্ছা (৯০) মারা গেছেন। ঝড়ে ঘর ও গাছ চাপায় নারী ও শিশুসহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন।

এ ছাড়া ঝড়ের তাণ্ডবে এই তিন ইউনিয়নের ভাসাটি, হাতকুন্ডুলী, পাটলী, নলুহা, চন্দ্রকোনা, নারিয়াপাড়া, কুমারপুরসহ কমপক্ষে ২৫টি গ্রামে পাঁচশতাধিক কাঁচাপাকা ঘরবাড়ি ও শত শত গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। ভাসাটি গ্রামের মিরাজ উদ্দিন জানান, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ ঝড়ে সব লণ্ডভণ্ড করে দেয়। এ সময় তার মা উকিলেনেচ্ছা ঘর থেকে বের হলে মাথায় একটি কাঁঠাল গাছ ভেঙ্গে পড়লে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। ঝড়ের পর থেকে অনেকেই খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।
শনিবার দুপুরে নেত্রকোনার জেলা প্রসাশক ড. তরুণ কান্তি শিকদার, নেত্রকোনা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তারী কাদেরী, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা কাজী নুরুল ইসলাম ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঝড় কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
কালিয়ারা গাবরাগাতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খান জানান, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে যাওযায় ঝড় কবলিত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ঝড়ে তার ইউনিয়নে ৭-৮’শ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা কাজী নুরুল ইসলাম জানান, ঝড়ে তিনটি ইউনিয়নে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরূপন করা হচ্ছে। পরে জেলা প্রসাশককে তা জানানো হবে।
জেলা প্রসাশক ড. তরুণ কান্তি শিকদার জানান, তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিবারকে নগদ ১৫ হাজার টাকা ও আহত একজনকে পাঁচ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণের জন্য প্রাথমিকভাবে ১০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের গৃহনির্মাণ সামগ্রীও দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।