কিশোরগঞ্জ থেকে মোস্তফা কামাল: কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর পৌর এলাকার পূর্ব মথুরাপুর গ্রামের একটি ফিসারিতে বাচ্চাদের গোসল করাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সাতজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছেন। পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয় পক্ষের দুই শতাধিক বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলেও জানা গেছে।
এলাকাবাসী জানায়, একটি ফিসারিতে বাচ্চাদের গোসল করাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিকালে পূর্ব মথুরাপুর গ্রামের ওয়াহিদ মিয়া ও শাহাপুর বড়বাড়ির সানাউল্লার লোকজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত উভয় পক্ষ- কৈলাগ ও দিঘীরপাড় ইউনিয়নের কয়েক গ্রামের সহস্রাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় ৫০-৬০ রাউন্ড গুলিও ছোঁড়া হয়। এতে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, পৌরসভার প্যানেল মেয়র হারুন-অর রশিদ, তার ছোট ভাই যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিনসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হন।
এদের মধ্যে রাজু আহমেদ (৬৭), জুয়েল মিয়া (১৮), ফরিদ মিয়া (৩৫), লাল মিয়া (৭০), রাকিব (১৮), মামুন (১৯) ও কিতাব আলী (৭৫) গুলিবিদ্ধ এবং রিপা (২০), শিপা (১৪), কাজল মিয়া (২৫), সানাউল্লা মিয়া (৩৮), নাদিম (১৪), ডিগ্রী পরীক্ষার্থী হোসেন মিয়া (২২), আতর আলী (৩৫), রোমান (৪০), শাওন (২৯), ফালু (৩৫), স্বাধীনসহ (২০) অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এলাকাবাসী আরও জানায়, হামলায় পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমদ, পৌরসভার প্যানেল মেয়র হারুন-অর রশিদ ও সভাপতি মঞ্জু মিয়াসহ অনেকের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারজিল হাসানসহ পুলিশ উপস্থিত ছিল। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। দাঙ্গার খবর পেয়ে পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান ও হোসেনপুর সার্কেলের এএসপি জামাল উদ্দিনসহ ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে। বাজিতপুর থানার ওসি সুব্রত কুমার সাহা জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।