মংলা বন্দরে ধর্মঘট অব্যাহত, দাবি না মানলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন

প্রতিনিধি, মংলা (বাগেরহাট): মংলা কাস্টমস সিএ্যান্ডএফ কর্মচারী ইউনিয়নের অবস্থান ধর্মঘট টানা চতুর্থ দিন চলছে। কাস্টমস কর্মীদের হয়রানির প্রতিবাদে ইউনিয়নের দেড় হাজার কর্মচারী বুধবার ধর্মঘট শুরু করে।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ দ্রুত সিএ্যান্ডএফ কর্মচারীদের দাবি মেনে না নিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।

ধর্মঘটের কারণে মংলা বন্দরে আমদানি-রপ্তানির সব কাজ চতুর্থ দিনের মতো বন্ধ রয়েছে। এতে বন্দরের রাজস্ব আয় কমে গেছে; বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।

মংলা কাস্টমস সিএ্যান্ডএফ এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনে সভাপতি সুলতান হোসেন খান বলেন, কর্মচারী ইউনিয়নের চলমান ধর্মঘটের সাথে শিপিং এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন, খুলনা ও বাগেরহাট চেম্বার একাত্মতা ঘোষণা করেছে। দু-এক দিনের মধ্যে দাবি মানা না হলে সকল বন্দর ব্যবহারকারীকে সাথে নিয়ে সম্মিলিতভাবে কাস্টমসের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, মংলা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমদানি-রপ্তানিকৃত মালামাল একাধিকবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে অহেতুক হয়রানি করে। এতে সময়ক্ষেপণের ফলে পণ্যের গুনগতমান নষ্টসহ আমদানি ও রপ্তানি কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়ায় ব্যবসায়িক ক্ষতি ও ঝুঁকি, সরবরাহকারীদের বীমা ঝুঁকি এবং শ্রমিকদের আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে মালামাল সরবরাহ করতে না পারায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন মংলা বন্দর ব্যবহারকারীরা। এদিকে একাধিকবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে হয়রানি বন্ধের দাবিতে অর্থমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সিএ্যান্ডএফ কর্মচারী ইউনিয়ন।