মালেশিয়ার জঙ্গলে পাচারের শিকার শত অভিবাসীর গণকবরের সন্ধান

মালেশিয়ার উত্তরাঞ্চলে থাইল্যান্ড সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় পাচারের শিকার অভিবাসীদের বেশ ক’টি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাহিদ হামিদি আজ রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে কতগুলো গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে তা এখনও নিশ্চিত নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশংকা করেছেন, ওই এলাকায় এরকম আরও গণকবর থাকতে পারে।

এসব গণকবরে পাচারের শিকার বাংলাদেশী ও মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের লাশ সমাহিত করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুক্রবার থেকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ গণকবরের সন্ধান পেতে থাকে।

massgrave in malaysia
গণকবরে অন্তত ১০০ জনের লাশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে মালেশিয়ার দ্য স্টার পত্রিকা।

মালয় ভাষায় প্রকাশিত সংবাপত্র উতুসান মালেশিয়া অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, ওই এলাকায় অন্তত ৩০টি গণকবরের সন্ধান মিলেছে। এসব কবরে কয়েক শ’ মানুষের কংকাল রয়েছে। ইংরেজি ভাষার দ্য স্টার সংবাদপত্র একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, একটি গণকবর থেকে ১০০ জনের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে।

থাই সীমান্তের পেদাং বেসার ও ওয়াং কেলিয়ান নামের মালেশিয়ার পেরিল প্রদেশের দুটি শহরের কাছে দুর্গম জঙ্গলে কবরগুলোর সন্ধান মিলে। এর আগে এ মাসের প্রথম দিকে এ সীমান্তের থাইল্যান্ড অংশের দুর্গম জঙ্গলে এরকম গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়। এসব গণকবর থেকে ৩৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে থাই কর্তৃপক্ষ।

এরপরই মানবপাচার নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করে থাইল্যান্ড। থাইল্যান্ডে ঢুকতে না পেরে সাগরে আটকা পড়ে বহু মানুষ।

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মালেশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া ভাসমান মানুষদের সাময়িক আশ্রয় দিতে সম্মত হয়। মে মাসের ১০ তারিখ থেকে সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষকে ইন্দোনেশিয়া, মালেশিয়া ও থাই কর্তৃপক্ষ আশ্রয় দেয়। পাচারের শিকার এসব মানুষদের প্রায় অর্ধেক বাংলাদেশী।