হায়দার হোসেন, গোপালগঞ্জ: টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং চিকিৎসক-কর্মচারীদের মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় দায়েরকৃত এ মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২ হাজার ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আটককৃত ১১ জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।
এদিকে দোষীদের গ্রেফতারের আশ্বাসের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জে ডাক্তার ও নার্সদের অনির্দষ্টকালের ধর্মঘট কর্মসূচি সাতদিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। রোববার বিকেলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএমএ নেতৃবৃন্দ এ ঘোষণা দেন।
শুক্রবার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা-ভাংচুর ও ডাক্তার-নার্সদের মারধরের ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে শনিবার থেকে জেলার সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। কর্মসূচি স্থগিত করা হলেও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকবে। সাত দিনের মধ্যে দোষীদের শাস্তির আওতায় না আনলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান বিএমএ নেতারা।
হামলা-ভাংচুর এবং চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের মারধরের প্রতিবাদে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রোববার সকালে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতাল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এদিকে দ্বিতীয় দিনের মতো জেলার সকল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি কর্মসূচি পালিত হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে রোগীদের।