পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে আদালতের বারান্দা থেকে পালাল খুনের আসামি

এম. সুরুজ্জামান, শেরপুর: আদালতের বারান্দা থেকে পুলিশ হেফাজতে থাকা হত্যা মামলার এক আসামি সবার অগোচরে হাতকড়া খুলে পালিয়ে গেছে। আজ সোমবার দুপুরে শেরপুরে এ ঘটনা ঘটে।

আসামি পালানোর ঘটনায় পুলিশের মহাপরিদর্শক ও জেলা পুলিশ সুপারকে বিচার কাজে দায়িত্ব অবহেলার জন্য জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শেরপুর সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক বুলবুল আহম্মেদ।

জানা গেছে, নালিতাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলার আসামি (জিআর মামলা নং ৪৫/১৫) মো. হাফিজুর রহমানকে (৩০) সোমবার দুপুরে জেলা কারাগার থেকে হাজিরার জন্য আদালতে আনা হয়। পরে কোর্ট পুলিশ বেলা একটার দিকে আদালতের হাজতখানা হাফিজুরসহ বিভিন্ন মামলার আরও ১২ জন আসামিকে হাতকড়া পরিয়ে সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর  সামনে আনেন। কিন্তু হাফিজুর রহমান সবার অগোচরে হাতকড়া খুলে বারান্দা থেকে পালিয়ে যান।কর্তব্যরত কোর্ট কনস্টেবল উজ্জ্বল ও তোফাজ্জল হোসেন কিছুই টের পাননি। পরে আসামিদের আদালতের কাঠগড়ায় উঠিয়ে গোনার পর বিষয়টি দু কনস্টেবলের নজরে আসে।

এ ঘটনার পরপরই আদালত চত্বরে ওই আসামিকে খোঁজার জন্য শেরপুর সদর থানা পুলিশ ও কোর্ট পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে। পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম ঘটনা শোনার পর তাৎক্ষণিকভাবে পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

গত ৩১ মার্চ দিবাগত রাত ১০টার দিকে নালিতাবাড়ী উপজেলার তোয়ালকুঁচি গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে হাফিজুরসহ একই গ্রামের আশরাফ ও সুমন নালিতাবাড়ী থেকে নন্নী গ্রামে ভাড়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ওমর আলী (৫৫) নামে এক অটো চালককে অনুরোধ করে। কিন্তু রাতের বেলা ওই অটোচালক যেতে রাজি না হলে চালকের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাফিজুর ওই অটো চালককে ঘুষি মারে। এসময় তিনি জ্ঞান হারালে তাকে নালিতাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর তিনি মারা যান। ওই সময় স্থানীয় জনসাধারণের সহায়তার মূল আসামি হাফিজুরকে আটক করে পুলিশ। পরে এ নিয়ে তিনজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

ঝিনাইগাতীতে মানুষ-হাতি বিরোধ ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ

wild elephant vs human training in sherpur
উদ্বোধনীপর্বে বক্তব্য রাখছেন অতিথিদের একজন।

ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় মানুষ-হাতি বিরোধ ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, শেরপুর ও হিউম্যান ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (হিডস) দু দিনের এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনীপর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নলকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানুষ-হাতি বিরোধ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর আব্দুল ওয়াহাব আকন্দ, ঝিনাইগাতী প্রেসক্লাবের আহবায়ক হারুন অর রশিদ দুদু, মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান, বালিজুরী রেঞ্জ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম, প্রকল্পের কো-ইনভেস্টিগেটর আনিছুর রহমান। শেরপুর, জামালপুর ও নেত্রকোনা জেলার রেঞ্জ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন।