দিনাজপুর থেকে রতন সিং: দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার পাসের হার ৮৫ দশমিক ৫০। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৮৪২ জন। গতবারের তুলনায় এবার পাসের ও জিপিএ-৫ পাওয়ার হার কমেছে। ৩২০টি বিদ্যালয়ের শতভাগ পাসের রেকর্ড হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১টায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলতি ২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম। এ সময় কলেজ পরিদর্শক ফারাজউদ্দীন তালুকদার ও উপ সচিব ড. আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এবার পাসের হার ৮৫ দশমিক ৫০ ভাগ। যা গতবারের চাইতে প্রায় ৭ দশমিক ৭৬ ভাগ কম। মোট পরীক্ষার্থী ১ লক্ষ ২৭ হাজার ১৮২ জনের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৫৩২ জন ছাত্র-ছাত্রী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ০৮ হাজার ১৮৯ জন। ছাত্রীদের তুলনায় ছাত্রদের পাসের হার বেশি। ছাত্রদের পাসের হার ৮৫ দশমিক ৩৯। আর ছাত্রী পাশের হার ৮৫ দশমিক ৬২ ভাগ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৮৪২ জন। এর মধ্যে ৫ হাজার ৮৭১ জন ছাত্র ও ৪ হাজার ৯৭১ জন ছাত্রী।
বিজ্ঞান বিভাগে ৫৫ হাজার ৫৭৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৫৫ হাজার ৩৬৯ জন। এর মধ্যে ৩৩ হাজার ২৫৬ জন ছাত্র ও ২২ হাজার ১১৩জন ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। পাশের হার ৯৪ দশমিক ৭৫ ভাগ।
মানবিক বিভাগে ৬৪ হাজার ৩৫৯ জনের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬৩ হাজার ৯৬২ জন। এর মধ্যে ২৬ হাজার ৭৪২ জন ছাত্র ও ৩৭ হাজার ২২০ জন ছাত্রী। বিভাগওয়ারী পাসের হার ৭৭ দশমিক ৩৭ ভাগ।
ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ৭ হাজার ২৪৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭ হাজার ২০১ জন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৯৩১ জন ছাত্র ও ২ হাজার ২৭০ জন ছাত্রী। বিভাগের পাসের হার ৮৬ দশমিক ৬১। এবার ছাত্রীদের তুলনায় ছাত্রদের পাসের হার বেশি।
এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৮৪২ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৩৬৮ জন। এখানে ৫ হাজার ৬৯১ জন ছাত্র ও ৪ হাজার ৬৭৭ জন ছাত্রী। মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯৫ জন এর মধ্যে ১৪৪ জন ছাত্রী ও ৫১ জন ছাত্র। ব্যবসা শিক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা ২৭৯ জন। এর মধ্যে ১২৯ জন ছাত্র ও ১৫০ জন ছাত্রী।
বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এ বছর নকলের দায়ে বহিষ্কার হয়েছিল ৩৫ জন পরীক্ষার্থী। কেউই পাশ করেনি এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫টি। এবার শতভাগ পাস করেছে এমন স্কুলের সংখ্যা ৩২০টি। গতবার এর সংখ্যা ছিল ৬৬১টি। দিনাজপুর বোডের্র অধীনে রংপুর বিভাগের ৮টি জেলায় ২ হাজার ৫৫০টি বিদ্যালয়ে ২৩৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।