ধানের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে রংপুরে ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের কর্মসূচি

রংপুর থেকে জয়নাল আবেদীন: ধানের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে রোববার রংপুরে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট রংপুর জেলা শাখার উদ্যোগে নগরীর মডার্ণ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের জেলা সংগঠক এবং বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) রংপুর জেলা কমিটির সদস্য পলাশ কান্তি নাগ, আহসানুল আরেফিন তিতু, কৃষক ফ্রন্টের জেলা সংগঠক বাবু মিয়া, শাহিদার রহমান সুমন প্রমুখ।

SAM_0296
ধানের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে রংপুরে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি

বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত  দুই ঘন্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, এ বছর প্রতি মন ধান উৎপাদনে কৃষকের খরচ হয়েছে ৭০০-৭৫০ টাকা। অথচ বর্তমানে কৃষকদের বাধ্য হয়ে ৪০০-৪৫০ টাকায় প্রতি মন ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। সরকার মন প্রতি ৮৮০ টাকা ধানের মূল্য নির্ধারণ করে ক্রয়ের ঘোষণা দিলেও কোথাও কোনও ধান ক্রয় করেনি। ফলে সর্বশান্ত হচ্ছে কৃষকরা। প্রতি বছর এভাবে ফসলের ন্যায্য মূল্য না পাওয়াই যেন কৃষকের নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অথচ কৃষকের উৎপাদন খরচ প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। ক্রমাগত বন্ধ্যা বীজ, ক্ষতিকারক সার ও কীটনাশকে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। অন্যদিকে ক্ষেতমজুরদের বছরে ৩ মাস কাজ থাকে বাকি ৯ মাস কোনও কাজ নেই। অনাহার অর্ধাহার প্রায় প্রতিদিনের ঘটনা। ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য এবং শিল্পের কাঁচামালের উৎস কৃষি। অথচ প্রতি বছর জাতীয় বাজেটে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয় এই কৃষি খাত। এখানে বাজেট বরাদ্দ এতই সামান্য যা এই খাতের সঙ্গে যুক্ত বিশাল জনগোষ্ঠীর সংগে তামাশা করার সামিল।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং যাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতায় দুই প্রধান রাজনৈতিক জোট ব্যস্ত, অথচ কৃষক ক্ষেতমজুরদের এই ভয়াবহ সংকট নিয়ে তাদের কোনও দায় নেই।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে হাটে হাটে ক্রয়কেন্দ্র খুলে সরকার ঘোষিত মূল্যে ধান ক্রয়, গরীব মানুষের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহের জন্য রেশন কার্ডের ব্যবস্থা, কৃষি ফসল উৎপাদন খরচ কমাতে সরকারি উদ্যোগে কৃষককে ভর্তুকী প্রদান এবং উন্নয়ন বাজেটের ৪০শতাংশ কৃষিখাতে বরাদ্দের দাবি জানান।