রাজশাহীতে বাস-সিএনজি শ্রমিকের সংঘর্ষে আহত ১০

রাজশাহী থেকে কাজী শাহেদ: রাজশাহীর বাঘা উপজেলা বাসস্ট্যান্ডে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বাস ও সিএনজি ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ছুঁড়েছে। রাবার বুলেট ও ইটপাটকেলের আঘাতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা হলেন, সিনজি চালক আরিফ হোসেন, মোহাম্মদ রবি ও আবু সাঈদ এবং বাস শ্রমিক রনজু, নুরুজ্জামান ও রফিকুল ইসলাম। এদের মধ্যে রবি, রনজু ও নুরুজ্জামানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরিফকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বাঘা সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি মিলন আলী জানান, বাস শ্রমিকরা দীর্ঘদিন থেকে বাঘা-চারঘাট ও রাজশাহী রুটে সিএনজি চালাতে বাধা দিয়ে আসছে। এর আগে গত মাসে এ রুটে বিআরটিসি’র দ্বিতল বাস চালচল উদ্বোধন করা হলে তারা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয়। এভাবে তারা সিএনজিও চালাতে দিচ্ছে না। এ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে স্থানীয় প্রশাসন ৫ দিনের মধ্যে একটি সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বাস শ্রমিকদের দাবিতে এ রুটে সিএনজি চলাচল বন্ধ করে দেয়।

মিলন আলী জানান, ৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও কোনো সমাধান না হওয়ায় গতকাল বাঘা বাসস্ট্যান্ডের ১০০ গজ পশ্চিমে থাকা তাদের স্ট্যান্ডে সিএনজি সারি করে রাখেন। কিন্তু বিনা উসকানিতে বাস শ্রমিকরা আকষ্মিকভাবে তাদের ওপর হামলা চালায়। পরে তারাও পাল্টা আক্রমণ করে। এ সময় বাস শ্রমিকরা স্ট্যান্ডে থাকা ২০-২৫টি সিএনজি ভাঙচুর চালায় বলে দাবি করেন তিনি।

বাঘা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রাব্বানী দাবি করেন, নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও তারা এ রুটে সিএনজি চালাতে উদ্যোগী হলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এ সময় সিএনজি শ্রমিকরা ৬টি বাস ভাঙচুর করলে বাস শ্রমিকরা পরে হামলা চালায়।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুর রহমান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলছিল। পরে পুলিশ রাবার বুলেট ছুঁড়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।