মুশফিক আরিফ, বরগুনা: জনবান্ধব হিসেবে পরিচিতি পাওয়া বরগুনার পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলামের বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার প্রেসক্লাব চত্ত্বরে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে সাধারণ মানুষ। জেলা আইনজীবী সমিতি, প্রেসক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, এনজিও ফোরামসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় দু হাজার মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। সমাবেশ শেষে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে বরগুনার জেলা প্রশাসক মীর জহুরুল ইসলামের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।
মানববন্ধন শেষে সমাবেশে বক্তারা বলেন, বরগুনায় যোগদানের পর থেকে মাত্র সাত মাসের ব্যবধানে পেশাগত সততা, আন্তরিকতা ও দেশাত্মবোধের চেতনায় নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে আসছেন পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম। এ সময়ে মাদক, ইভ টিজিং, বাল্যবিয়ে, নারী নির্যাতন ও সন্ত্রাসসহ সব রকম শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়।
বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি প্রবীণ আইনজীবী তোফাজ্জেল হোসেন কিসলু তালুকদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্বাস হোসেন মন্টু, পৌর মেয়র শাহাদাত হোসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার আলহাজ্ব আব্দুর রশীদ, বরগুনা প্রেসক্লাব সভাপতি হাসানুর রহমান ঝন্টু, এনজিও উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি মোতালেব মৃধাসহ অন্যরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) দুপুরে বরগুনার পুলিশ সুপারের বদলির আদেশের খবর বরগুনার বিভিন্ন মহলে ছড়িয়ে। এ খবরে সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। পুলিশ সুপার বরগুনায় যোগদানের পর থেকে গত সাত মাস ধরে বরগুনার সাধারণ মানুষের উন্নয়নে এবং শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে আসছেন। মাদক এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে এলাকার সাধারণ মানুষকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তিনি। কমিউনিটি পুলিশকে সক্রিয় করে গ্রামে গ্রামে সাধারণ মানুষের মধ্যে সস্তি ফিরিয়ে আনতে সাইফুল ইসলাম কার্যকর ভূমিকা রেখেছেন। দু মাস আগে বরগুনার তালতলী উপজেলার চন্দনতলায় ভিটা থেকে বিতাড়িত ১৪টি হিন্দু পরিবারকে পুনর্বাসন করে ওই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনেন তিনি। এরকম বেশ কয়েকটি ঘটনায় পুলিশ সুপারের ভূমিকা সবার প্রশংসা পায়।
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তারা অবিলম্বে বরগুনার গণমানুষের স্বার্থে পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলামের বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান। বদলির আদেশ প্রত্যাহার করা না হলে গণঅনশনসহ আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে জানান তারা।