প্রতিনিধি, ঈশ্বরদী (পাবনা): ঈশ্বরদীর পৌর শ্মশান বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সভা শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। কমিটির সভাপতি বিশ্বনাথ পালের সভাপতিত্বে এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী মালিথা, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক উদয়নাথ লাহিড়ী ও পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুনিল চক্রবর্তী।
সভার শুরুতে বিভিন্ন এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা আবুল কালাম আজাদ মিন্টুকে ঈশ্বরদীতে শ্মশান প্রতিষ্ঠার বিশেষ অবদান রাখায় ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। বাবু সন্তোষ সরকারের শ্রী শ্রী গীতা পাঠের পর সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার কুন্ডু সাধারণ সভার শ্মশান নির্মাণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। শ্মশান প্রতিষ্ঠায় ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ও তার সহধর্মিনী কামরুন্নাহার শরীফের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
স্বপন কুন্ডু আরও বলেন, শ্মশান প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন সময়ের সব প্রতিবন্ধকতা আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর তৎপরতায় দূর হয়েছে। ঈশ্বরদীর হিন্দু সম্প্রদায়ের দীর্ঘ দিনের চাওয়া ছিল পৌর এলাকায় শ্মশান স্থাপন, এতে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষেরাও আন্তরিক সহযোগিতা করায় পৌর শ্মশান ও শ্মশান কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, আমি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় বাস টার্মিনালের পিছনে শ্মশান নির্মাণের কাজ শুরু করি। নির্মাণ কাজে অনেক ব্যয় করার পরও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। তিনি বলেন, মন্ত্রী মহোদয়ের আন্তরিকতার কারণে ঈশ্বরদীর হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রাণের দাবি পূরণ করা সম্ভব হয়েছে। তিনি শ্মশানে আরও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক হাসানুজ্জামান, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির ইমরুল কায়েস দারা, হিন্দু ,বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সম্পাদক বিমল চক্রবর্তী, পিয়ারাখালি এলাকার মহেষ বাবু, ফতেহ মোহাম্মদপুর এলাকার সুশীল সরকার, অরোনকোলা এলাকার দিলীপ কুমার, রবিদাস সম্প্রদায়ের রঞ্জু রবিদাস, হরিজন সম্প্রদায়ের নেতা রাজ কুমার মণ্ডলসহ অন্যরা।
সাধারণ সভায় পৌর শ্মশান বাস্তবায়ন কমিটি বিলুপ্ত করে ঈশ্বরদী পৌর শ্মশান কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে আবুল কালাম আজাদ মিন্টুকে প্রধান উপদেষ্টা এবং অধ্যাপক উদয় নাথ লাহিড়ী ও ইসহাক আলী মালিথাকে উপদেষ্টা নির্বাচিত করা হয়। সর্বসম্মতিক্রমে বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি বিশ্বনাথ পাল ও সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার কুন্ডুসহ ১৫ সদস্য কমিটিকে পুনর্নির্বাচিত করে ৩১ সদস্যের শ্মশান কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।