দিনাজপুর থেকে রতন সিং: জৈষ্ঠ্যের প্রচণ্ড তাপদাহে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের মানুষ। নেই বৃষ্টি, নেই বাতাস। বাড়ছে তাপদাহ। একদিকে গরম, অন্যদিকে বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।
জৈষ্ঠ্যের গরম ও প্রচণ্ড তাপদাহে গত কয়েকদিনে দিনাজপুর শহরসহ আশপাশের অঞ্চলগুলোর স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নানারকম রোগব্যাধি। বাড়ছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃষ্টি না হওয়ায় তাপমাত্রা বাড়ছে। গত ২দিনে তাপমাত্রা ছাড়িয়ে রোববার আবহাওয়া অফিস ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। বাতাসের আদ্রতা ৬৪ শতাংশ। আজকের তাপমাত্রা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এদিকে তীব্র তাপদাহে বনের পশুপাখীরা অস্থির হয়ে পড়েছে। একটুকু পানির জন্য পশু-পাখীগুলো তৃষ্ণা মিটাতে ছুটোছুটি করতে দেখা যাচেছ।
চিকিৎসকদের পরামর্শ বেশি করে পানি খাওয়া। প্রয়োজনে লেবু ও ডাবের পানি পান এবং স্যালাইন খাওয়ার পরামর্শ দিচেছন চিকিৎসকরা। প্রচণ্ড তাপদাহ ও গরমে নানা ধরনের রোগবালাই বেড়ে গেছে। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. সুলতান মো. শামসুজ্জামান জানান, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল ও ১৩টি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বহির্বিভাগে রোগীদের ভীড় বেড়ে চলছে। ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। হাসপাতালে রোগীদের সেবা বাড়াতে তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।