জাহিবা হোসাইন, মংলা (বাগেরহাট): মংলা-ঘাষিয়াখালী আর্ন্তজাতিক নৌ চ্যানেলের খনন কাজ জুন মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না।
সোমবার মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত সংশ্লিষ্টরা এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে কিছুই জানাতে পারেননি।
সভায় জানানো হয়, এ চ্যানেলের আওতাভুক্ত মংলা ও রামপাল উপজেলার ২৪৬টি খালের অবৈধ বাঁধ এখন পর্যন্ত সরানো হয়নি। এ ছাড়া চ্যানেলের খননকৃত মাটি জমিতে ফেলা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে এসব কারণে অনেক জমির মালিকই আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অপরদিকে নদীর পাড় ভরাট করার কারণে বর্ষা মৌসুমে বিলীন জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির আশংকা দেখা দিয়েছে।
সভায় খালের অবৈধ বাঁধ কাটা, খননকৃত মাটি কোথায় ফেলা হবে তা চিহ্নিত করা ও ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা নেয়াসহ বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর আলম, কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মেহেদি হাসান, বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার মো. হাসান, মংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ, মংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলী প্রিন্স, রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রাফা মো. আরিফসহ খনন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।