নির্বাচনী সহিংসতায় ৮৯ বিএনপি-জামায়াত ক্যাডারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

দিনাজপুর থেকে রতন সিং: ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর সদর উপজেলার কর্ণাই গ্রামের সংখ্যালঘু নির্যাতন, নাশকতা ও লুটপাটের অভিযোগে দায়েরকৃত পৃথক ২টি মামলা সিআইডি পুলিশ তদন্ত করে ২ জন ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৮৯ জন বিএনপি-জামায়াত ও শিবির ক্যাডারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করেছে।

আদালতের একটি সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে দিনাজপুর সিআইডি জোনের পরিদর্শক মো. তরিকুল ইসলাম ও পরিদর্শক মো. মানিক রেজা এই দু’টি চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত শেষে সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. নাজমুল হোসেনের আদালতে ৮৯ জন বিএনপি-জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিচারের জন্য অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার ৮৯ জন আসামির মধ্যে পুলিশ ৩৩ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। পালিয়ে থাকা ৫৬ জন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি ও ক্রোকি প্ররোয়ানা প্রদানের আবেদন করা হয়েছে। ৪ জন আসামির বয়স কম থাকায় তাদের বিরুদ্ধে শিশু আইনে পৃথক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। বিচারক অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে গত ৭ জুন শুনানির জন্য দিন ধার্যের দিন পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছে- জেলা যুব দল নেতা ও সদর উপজেলার ১নং চেহেলগাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান বাদশা (৩৭), ওই ইউনিয়নের মেম্বার নাজির হোসেন (৪০), বিরল উপজেলার ধর্মজৈন ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম (৪৫), ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর তাজিবুর রহমান (৫০) ও সেক্রেটারি ডাঃ ইউনুস আলীসহ (৪৮) বিএনপি-জামায়াত ও শিবিরের সক্রিয় ক্যাডারদের নাম।

মামলার অভিযোগে প্রকাশ, গত বছর ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫ জানুয়ারি সদর উপজেলার ১নং চেহেলগাজী ইউনিয়নের ৪৭নং কর্ণাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট চলাকালে বিএনপি-জামায়াত-শিবির ক্যাডারেরা ভোট গ্রহণ বন্ধ করতে এবং ভোট দিতে আসা লোকজনদের ভয়ভীতি প্রদর্শনে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, লুটপাট ও ভাংচুর করে। এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কর্ণাই গ্রামের গনেশ চন্দ্র রায়ের পুত্র মনোহর রায় (৩০) ও একই গ্রামের কেন্দালু চন্দ্র রায়ের পুত্র কার্তিক চন্দ্র রায় (৪৮) বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করেন। মামলা দুটি জনগুরুত্বপুর্ণ হওয়ায় সরকারের পর্যালোচনা কমিটির নির্দেশে দিনাজপুর সিআইডি জোনের ২ জন পরিদর্শককে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। সিআইডি পুলিশ তদন্ত করে ৮৯ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করেন।