প্রতিনিধি, বরগুনা: ২০০৭ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বরগুনায় ৮ হাজার ২৪০ জন যক্ষ্মা রোগীকে চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুস্থ করা হয়েছে। এ সময় যক্ষায় আক্রান্ত ৩৬ জন রোগী মারা যান। বর্তমানে এ জেলায় এখন ৬১৮জন যক্ষ্মা রোগী রয়েছেন।
জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রাণালয়, ব্র্যাক ও বরগুনা প্রেসক্লাবের আয়োজনে বৃহস্পতিবার যক্ষ্ম নিয়ে আয়োজিত এক গোলটেবিলে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

আরডিএফ মিলনায়তনে আয়োজিত যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম : অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মো. রুস্তম আলী। এতে সাংবাদিক, মসজিদের ইমাম, সুস্থ হওয়া যক্ষ্মা রোগী এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা নেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম, মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইউনুস আলী, জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. কামরুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুস সালাম, প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসানুর রহমান ঝন্টু, এনজিও ফোরামের সভাপতি মো. আব্দুল মোতালেব মৃধা, ব্র্যাকের জেলা প্রতিনিধি মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাংবাদিক আব্দুল আলীম হিমু, মনির হোসেন কামাল, আবু জাফর মো. সালেহসহ অন্যরা।
গোলটেবিলে আরও জানানো হয়, যক্ষ্মায় আক্রান্ত একজন রোগী থেকে আরও ১০জন সংক্রমিত হতে পারে। প্রতিমাসে জেলার বিভিন্ন স্থানে ২০৮টি কেন্দ্রের মাধ্যমে কফ সংগ্রহ করে যক্ষ্মা রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে রোগীদের সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। ব্রাকেকের যক্ষ্ম নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় রোগ নির্ণয় থেকে শুরু করে সুস্থ হওয়া পর্যন্ত সব সেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।