বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি: নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত

বগুড়া প্রতিনিধি: যমুনার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভাঙ্গা পানিতে বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ধূনটে  বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম। ভাঙ্গতে শুরু করেছে বাঁধের নতুন অংশ।

pic-
ভাঙ্গতে শুরু করেছে বাঁধের নতুন অংশ।

এদিকে রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বিপদ সীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে যমুনার পানি প্রবাহিত হচ্ছে বলে জনিয়েছেন পনি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ।

ফলে সারিয়াকান্দির গোদাখালি, দড়িপাড়া, হাড়াখালি, বুরইল, পাইকরতলী, চর এলাকা চালুয়াবাড়ী, কাজলা, কর্ণিবাড়ী, বোহাইল, চন্দনবাইশা ও হাটশেরপুরের আংশিক ইউনিয়নে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।

এ দিকে ধূনট উপজেলার চিকাশি ইউনয়নের চিকাশি, জোড়শিমুল, হাটিয়াপাড়া, সুতানাড়া, গুলাউরতাইড়, গজাড়িয়া ও গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের ছোটদিয়াড গ্রামসহ ১৫ গ্রামের দেড় লক্ষধিক বাসিন্দা পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

এছাড়া সারিয়াকান্দির নিম্নাঞ্চল কুতুবপুর ও চন্দনবাইশা ইউনিয়নে নির্মাণাধীন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ঘুঘুমারী গ্রামের নিকট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন জানান, যমুনা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করলেও ভয়াবহ পরিস্থিতি কোথাও নেই। তারা সার্বক্ষণিক বন্যা পরিস্থিতি তদারকি করছেন। তবে তীব্র স্রোতের কারণে গোদাখালি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে এখনও লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। এই মুহুর্তে নদীতে উত্তাল স্রোত থাকায় বাঁধ ভাঙ্গা এলাকায় কোনও কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। ঢলের পানি আগামী দু’এক দিনের মধ্যে কমে গেলেই ভাঙ্গা বাঁধ মেরামত করা হবে।

তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীতে ২০সে.সি. পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৩সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচেছ।