পুলিশের উপর হামলা: জামায়াতর-শিবিরের ১০৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

দিনাজপুর থেকে রতন সিং: দিনাজপুরে পুলিশের উপর হামলা, পিকআপ ভ্যান ভাংচুর ও নাশকতার অভিযোগে জেলা জামায়াতের আমীর এবং সেক্রেটারিসহ ১০৭ জন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীল বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক ২টি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

রোববার দিনাজপুর সদর কোতয়ালী থানার পরিদর্শক মো. আবুল হাসনাত এই চাঞ্চল্যকর মামলাটি তদন্ত শেষে ১০৭ জন জামায়াত-শিবির ক্যাডারের বিরুদ্ধে সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. নাজমুল হোসেনের আদালতে নিয়মিত ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক ২টি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারক অভিযোগপত্র দুটি গ্রহণ করে এই মামলার পালিয়ে থাকা ৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেন। অপর ৭৩ জন আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত রয়েছে।

মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জেলা জামায়াতের আমীর মো. আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এ্যাড. আবু আলা মো. মাহবুবুর রহমান ওরফে ভুট্টু, শহর জামায়াতের আমীর মো. তৈয়ব উদ্দিন, জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি মতিউর রহমান, জেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি সিরাজুল সালেকিন তাজ, দিনাজপুর সরকারী কলেজ ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি মো. আয়েতুল্লাহ, পার্বতীপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি রেজাউর রহমান, চিরিরবন্দর উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হবিবর রহমান, বীরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি একেএম কাওসার ও ছাত্র শিবির সভাপতি মো. খোদা বখস, খানসামা উপজেলা জামায়াতের আমীর মওলানা আতাউর রহমান, সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল কাফী, খানসামা উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি মো. মোন্নাফ, বিরল উপজেলা জামায়াতের সভাপতি ডাঃ নুরুল ইসলাম, সেক্রেটারি আব্দুল বাতেন সরকারসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের জামায়াত ও শিবিরের ১০৭ জন নেতাকর্মী।

মামলার বাদী কোতয়ালী থানার এসআই আব্দুস সোবহান অভিযোগ করেন, গত ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি বেলা ১১টায় শহরে টহল ডিউটি দেওয়ার সময় মুন্সিপাড়া মির্জা ট্রেডার্সের সামনে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পুলিশের পিকআপ ভ্যানে হামলা চালায় এবং ককটেল বিস্ফোরণ করে। জামায়াত-শিবিরের হামলায় কোতয়ালী থানার এসআই মামুনুর রশিদসহ কর্তব্যরত ১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাদের হামলায় পিকআপ ভ্যান ও মুন্সিপাড়ার কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়। এতে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার লুটপাট ও ক্ষতি হয়েছে। এই ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় ওই দিনই মামলা করেন। মামলা দায়েরের ২ বছর ৫ মাস তদন্ত করে পুলিশ নিয়মিত ধারায় ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে আদালতে পৃথক ২টি অভিযোগপত্র দাখিল করে।