শেরপুর থেকে রেজাউল করিম: শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ভেলুয়া বাজার এলাকায় গ্রাম পুলিশের ছেলের হাতে এক শিশু শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার বিকালে প্রতিবেশী গ্রাম পুলিশের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
শ্লীলতাহানির শিকার ওই শিশুর বাবা জানান, তার ১২ বছর বয়সের মেয়ে বাড়ির ওঠান থেকে টিউবওয়েল পানি আনতে যায়। এ সময় গ্রাম্ পুলিশ শাজাহান মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া (১৮) তাকে মুখে গামছা চেপে তাদের ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে শিশুটির চিৎকার শুনে প্রতিবেশী আরেক গ্রাম পুলিশ ওসমান আলীসহ আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। এ সময় সুজন ঘর থেকে পালিয়ে যায়। পরে এ ঘটনাটি নিয়ে সালিশ বসে।
ওসমান আলী সালিসশ জানান, তিনি চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেন। এ সময় সুজন শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করছিল। ঘরে ঢুকে সে বাধা দেয় এবং পরে লোকজন এলে সুজন পালিয়ে যায়।
মাতাব্বররা জানান, ঘটনাটির সত্যতা পাওয়া গেছে। এ জন্য গ্রাম্ পুলিশ শাজাহান মিয়া সালিসশ উপস্থিত হননি। তাদের মতে, তার সাথে থানা পুলিশের সুসম্পর্ক রয়েছে। এ কারণে হয়তো তিনি সালিশদারদের তোয়াক্কা করছেন না।
ভেলুয়া বাজারের অনেকে জানান, গ্রাম্ পুলিশের চাকুরির সুবাদে তারা বাপ-বেটা এলাকাতে নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে। থানা পুলিশের ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না। স্থানীয় ইউপি সদস্য মিঠুু মিয়াসহ মাতাব্বরদের অভিযোগ, কেউ তার বিরুদ্ধে অপকর্মের অভিযোগ করলে সে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধেই উল্টো মামলা করার হুমকি দেয়। এ জন্য কেউ কিছু বলছেনা। শ্রীবরদী থানার এসআই আবুল কালাম জানান, তারা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। কেউ অভিযোগ দিলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে প্রতিবেদককে জানান। এ ব্যাপারে গ্রাম্য পুলিশ শাজাহান মিয়া মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি লাইন কেটে দেন। তবে, ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এবার অনেকে মুখ খুলছেন। ওই বখাটের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন তারা।