জাহিবা হোসাইন, মংলা (বাগেরহাট): সোমবার সুন্দরবন ও মিঠাখালী ইউনিয়নে নবনির্মিত দুটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আলী প্রিন্সের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ।
এ সময় ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয় ও কর্মসূচির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রায় ২৪০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একটি আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবেও ব্যবহৃত। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের সময় এখানে আশ্রয় নিতে পারবে প্রায় ২ হাজার মানুষ ও ৫০০ গবাদিপশু।
২০০৭ সালের নভেম্বরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণকে একজন সৌদি আরবের দাতা ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩ কোটি মার্কিন ডলার দান করেন।
এই অর্থে সিডর ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে ২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।
কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও ইসলামি ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মধ্যে ২০০৮ সালের ১২ মে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
ভবনগুলো ঘন্টায় ২৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাতাসের গতি সহনীয় করে তৈরি করা হয়েছে।
আশ্রয়কেন্দ্রে স্কুল আসবাবপত্র, সৌরশক্তি, নিরাপদ পানীয় জল সরবরাহের জন্য বৃষ্টির পানি ধরার ব্যবস্থা রয়েছে।