খুলনা প্রতিনিধি: খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মোস্তফা কামাল বলেছেন, যে কোনও হত্যার সাথে সরাসরি কতিপয় ব্যক্তি হয়তো জড়িত থাকতে পারে। কিন্তু হত্যার পরিকল্পনা, পৃষ্ঠপোষকতা ও অর্থ যোগানদাতা ব্যক্তিগত লাভালাভের অবস্থান থেকে এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত করে।

তিনি বলেন, সাংবাদিক হুমায়ূন কবির বালু হত্যায় কে বা কারা লাভবান হয়েছেন, সে বিষয়টিও উঠে আসা দরকার। এ বিষয়ে আপনাদের অনুসন্ধান করতে হবে। আপনারা অনুসন্ধ্যানী প্রতিবেদন করে এ বিষয়ে তথ্য উন্মোচন করতে পারেন। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ডিসি পদ থেকে আমি বদলী হলে আপনারা উপকৃত হবেন না। কিন্তু কেউ উপকৃত হতে পারে। এখন বালু হত্যার ক্ষেত্রেও এই উপকারভোগী থাকতে পারে। তিনি বলেন, আমি বালু হত্যার খুনীদের শনাক্ত ও শাস্তির ব্যাপারে পদক্ষেপ আর মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমাতে উদ্যোগ নেব। শুধু বালু হত্যাই নয়, খুলনার সকল সাংবাদিক হত্যা ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে যথাযথ উদ্যোগ নেবেন বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
তিনি সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের কাছ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণকালে এ সব কথা বলেন। দৈনিক জন্মভূমি সম্পাদক ও প্রকাশক, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হুমায়ূন কবির বালুর একাদশতম হত্যাবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট ইউনিটি চারদিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ স্মারকলিপি প্রদান করে।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন খুলনা ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট ইউনিটির আহ্বায়ক গৌরাঙ্গ নন্দী, শেখ আবু হাসান, এস এম জাহিদ হোসেন, কাজী মোতাহার রহমান বাবু, এস এস সাহিদ হোসেন, শাহ আলম, আবু তৈয়ব, মুন্সী মাহাবুব আলম সোহাগ, হুমায়ুন কবীর, মামুন রেজা, হাসান আহমেদ মোল্লা, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, দেবব্রত রায়, তরিকুল ইসলাম, রকিব উদ্দিন পান্নু, ওয়াহেদ উজ জামান বুলু, এইচএম শামীমুজ্জামান, কৌশিক দে, রকিবুল ইসলাম মতি, খাইরুল ইসলাম, হেদায়েৎ হোসেন, কাজী শামীম আহমেদ, মোস্তফা জামাল পপলু, লিয়াকত হোসেন, আমিরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মিল্টন, প্রবীর বিশ্বাস, শাহজালাল মোল্লা মিলন, মো. নুরুজ্জামান, শেখ রাসেল, কবিরুজ্জামান বাপ্পী, নাজমুল হক পাপ্পু, শাহ নেওয়াজ, উজ্জ্বল, বাহাউদ্দিন বাহার, সেলিম গাজী, জাহিদ গাজী, তুফান গাইন, সাগর সরকার, শেখ মো. জুয়েল, মো. পলাশ, শাহ আলম প্রমুখ।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৬ জুন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে প্রতীক গণ-অনশন পালিত হবে। ২৭ জুন বিকেলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।